সিবিআই-এর অত্যাচারেই লালন শেখের মৃত্যু - অভিযোগ পরিবারের, বীরভূম পুলিশ বলল তদন্ত হবে

লালন শেখের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সিবিআই আধিকারিকদের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছিল লালন শেখের।

 

Web Desk - ANB | Published : Dec 12, 2022 6:07 PM IST

বগটুই গণহত্যা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। সোমবারই বিকেলের দিকে সিবিআই ক্যাম্প অফিসের শৌচাগারে লালন শেখের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার গলায় ছিল একটি লাল গামছা। সূত্রের খবর, শৌচাগারে লালন শেখের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। লালন শেখের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছে, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল। 'নির্যাতনের ফলেই লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে।' দাবি নিহতের পরিবারের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুন এক সিবিআই আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, লালন শেখকে গেস্টা হাউসের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থা পাওয়া গিয়েছিল। সেখানেই সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস। বিকেল ৪টে ৩০ মিনিটে উদ্ধার হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সেই সময় দুই তদন্তকারী আধিকারিক আদালতে ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন একজন সিআরপিএফ কনস্টেবল শৌচাগারের বাইরে মোতায়েন ছিল। কিন্তু তার উপস্থিতিতেই লালন শেখ আত্মহত্যা করতে সক্ষম হয়েছে। গোটা ঘটনা রাজ্য পুলিশ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানান হয়েছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর লালন শেখতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর প্রথম দফায় ৬ দিন দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের সিবিআই হেফাজত দিয়েছিল আদালত।

লালন শেখের পরিবার জানিয়েছে, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখকে প্রবল মারধর করা হয়েছিল। লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তের দাবি করেছে । লালন শেখের বড় বোন বলেছেন,'আমার ভাইকে কয়েক দিন আগে আমাদের গ্রামে আনা হয়েছিল তদন্তের জন্য। সেই সময়ই সে আমাদের বলেছিল যে সিবিআই অফিসারকে তাকে হেফাজতে মারধর করছে। সে মারা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিল। লালনের মৃত্যুতে দোষী সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। '

বীরভূমের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত শুরু হবে। মৃত্যুর পিছনে কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। বিকেল ৪টে ৪০ মিনিটে সিবিআই লালনের মৃত্যুর বিষয় তাদের জানিয়েছিল বলেও জানান তিনি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ এই বিষয় শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বলেছেন, 'এটাই শুভেন্দুর বড় ঘটনা কিনা!' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন'প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সিবিআই ৯ মাস সময় নিয়েছে আর এখন হেফাজতেই মারা গেছে। সিবিআই এর জন্য দায়ী।' লালন শেখের মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। হত্যা না আত্মহত্যা তাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে পিটিআইকে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ

সিবিআই ক্যাম্প অফিসে রহস্যজনক মৃত্যু বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের

দিন পিছিয়ে দিলেন শুভেন্দু , বললেন 'প্রভাবশালী ডাকাত গ্রেফতার হবে ১৪ জানুয়ারী '

দেশ নিরাপদে না থাকলে উন্নয়নের মানে নেই, এই মন্তব্য করে PoK ফিরে পাওয়া সম্ভব কিনা জানালেন প্রাক্তন সেনা কর্তা

 

 

Share this article
click me!