ক্লাসে নায্য মূল্যের দোকান চালু শিক্ষকদের, বিক্রি করছে পড়ুয়ারা! প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবি ভাইরাল

বিক্ষোভ চলাকালীন বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে এই বিক্ষোভকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে দাবি ওই শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতার।

Parna Sengupta | / Updated: Nov 12 2022, 08:50 AM IST

বিদ্যালয়ে নিয়মিত সঠিক ভাবে হয় না ক্লাস। বিদ্যালয়ের ভেতরে ন্যায্য মূল্যের দোকান করেছেন শিক্ষকরা। ক্লাস না করিয়ে সেখানে বসানো হয় ছাত্রদের। প্রত্যেকদিন সঠিক ভাবে হয় না প্রার্থনা। এমনকি অভিযোগ জাতীয় সংগীত চলাকালীন বসে থাকেন শিক্ষকরা। ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক আবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। তিনি স্কুলে নিয়মিত আসেন না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। এদিন শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসতেই তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকদের।

বিক্ষোভ চলাকালীন বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে এই বিক্ষোভকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে দাবি ওই শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতার। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। বন্ধ করে দেওয়া উচিত রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি নেতার। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত হলদিবাড়ি গ্রামের হলদিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানিক দাস। যিনি আবার হরিশ্চন্দ্রপুর ১(বি) ব্লক তৃণমূল সভাপতি। অভিভাবকদের অভিযোগ তিনি নিয়মিত স্কুল আসেন না। ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক হিমাংশু দাস এবং তার স্ত্রী পিংকি দাস আবার বিদ্যালয়ের ভেতরে দোকান খুলেছেন বলে অভিযোগ।

Latest Videos

অভিযোগ ঠিক ভাবে ক্লাস না নিয়ে স্কুলের বাচ্চাদের দোকানে বসানো হচ্ছে। যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে মিড ডে মিল দেওয়া হয় সেখানে স্কুলের ভেতরে দোকান কেন প্রশ্ন তুলছে অভিভাবকরা। এমনকি নিয়মিত ভাবে ঠিক করে প্রার্থনা হয় না ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জাতীয় সংগীত চলাকালীন বসে থাকেন শিক্ষকরা। অভিভাবকদের দাবি এরকম বিদ্যালয়ে এসে বাচ্চারা কি শিখবে। এমনকি অভিযোগ ঝাঁট দেওয়ানো হচ্ছে বাচ্চাদের দিয়ে। শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে থেকে ঝাঁট দেওয়াচ্ছেন। বিদ্যালয়ে কোন ক্লাস না হওয়ায় প্রাইভেট টিউশন দিতে বাধ্য হচ্ছে অভিভাবকরা। দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকা এই ক্ষোভের শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটে।

তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষক মানিক দাস স্কুলে আসতে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অভিভাবকরা। কিন্তু মানিক দাসের দাবি এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন। যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভ চলাকালীন বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদিকুল হক। এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।এদিকে এই ঘটনায় শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি নেতা কিষান কেডিয়া। তৃণমূল আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তার। সমগ্র ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানোতোর।

বিক্ষোভকারী অভিভাবক অজয় রায় বলেন, আমার নাতনি এই বিদ্যালয়ে পড়ে। প্রাইভেট টিউশন না দিলে কোন পড়া শিখতে পারবে না। মানিক মাস্টারমশাই কোনদিন বিদ্যালয়ে আসে না। ঠিকভাবে কোন ক্লাস হয় না।

বিক্ষোভকারী অভিভাবক শ্রবণ দাস বলেন, শিক্ষক হিমাংশু দাস স্কুলের ভেতর দোকান খুলেছেন। কিন্তু ছোট বাচ্চারা টাকা নিয়ে কেন স্কুল আসবে। সরকার তো মিড ডে মিল দিচ্ছে। ক্লাস একদম হয়না। মানিক দাস হয়ত অন্য কাজ নিয়েই বেশি ব্যাস্ত তাই স্কুলে আসেন না।

শিক্ষক তথা হরিশ্চন্দ্রপুর ১(বি) তৃণমূল ব্লক সভাপতি মানিক দাস বলেন,অভিযোগ ভিত্তিহীন। যারা হয়ত বিক্ষোভ দেখালেন তারা রাজনৈতিক কারণে দেখালেন। দোকানের ব্যাপার আমি বলতে পারবো না। এটা প্রধান শিক্ষক বলবেন।

জেলা বিজেপি কমিটি সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, স্কুলে ক্লাস হচ্ছে না। ছাত্রদের দিয়ে স্কুল ঝাট দেওয়ানো হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া উচিত রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়।এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূল সব শেষ করে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন

এশিয়ার পাওয়ার বিজনেস ওমেনের শীর্ষে ৩ ভারতীয়র মধ্যে বাঙালি ললনা , একনজরে দেখুন তালিকা

চুরির জন্য খুন নয় ,নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ , হত্যাকারী গ্রেপ্তারের পর উঠে এলো একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য

Share this article
click me!

Latest Videos

Daily Horoscope Live: ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ব্যবসার ক্ষেত্রে ভাল যোগাযোগ হতে পারে, দেখুন জ্যোতিষ কথ
'স্বাস্থ্যে দুর্নীতির জন্য আপনি জেলের বাইরে কেন?' প্রশ্ন তুলে মমতাকে আক্রমণ Sukanta-র | RG Kar
‘সমস্যা সমাধান না করলে আরও বড় আন্দোলনে যাবো!’ সাবওয়ের দাবিতে তৃণমূলের তীব্র বিক্ষোভ! | Singur News
আরও এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের কুকীর্তি! গৃহবধূ ছুটলেন থানায়, তারপর যা হল | Jalpaiguri News Today
'ষড়যন্ত্র করে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল' জেল থেকে ছাড়া পেয়েই পাল্টা অভিযোগ Kalatan Dasgupta-র