এবার পরিবারের এক সদস্যের কাছে যৌন লালসার শিকার হতে হল সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে।
এবার পরিবারের এক সদস্যের কাছে যৌন লালসার শিকার হতে হল সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে।
এই নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানা এলাকায়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেি এক মধ্যবয়সি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
‘নির্যাতিতা’র পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেই শিশুটিকে হেনস্থা করা হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। কিন্তু ভয়ে সে কাউকে কিছুই বলতে পারেনি। পরের দিন অর্থাৎ, শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়ে সেই নাবালিকা। আর তারপরেই ঘটনার কথা জানতে পারেন তাঁর বাবা-মা। অভিযোগ উঠছে, চকোলেটের লোভ দেখিয়ে সাত বছরের ওই শিশুকে একটি ফাঁকা ঘরে ডেকে নিয়ে যান পরিবারেরই এক আত্মীয়।
তারপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা থেকেই নাবালিকার আচরণে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছিলেন সেই পরিবারের লোকজন। শিশুটির মা দাবি করছেন, শুক্রবার মেয়ে তাঁকে জানায় যে, ঠিক কী ঘটেছে। এরপরই পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় ডোমকল থানায়। এরপরেই ওই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে সামনে আসে।
ডোমকলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভম বাজাজ জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট তিনটি ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে এবং তিনটি জায়গাতেই নির্যাতিতারা হলেন নাবালিকা। শুক্রবার, সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে জিলিপির লোভ দেখিয়ে বাড়ির সামনে থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। পরে সেই অভিযুক্তকে পিটিয়ে মেরে ফেলে উত্তেজিত জনতা।
এদিকে শনিবার, আরও এক অভিযুক্ত থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শনিবার, দুপুরে আলিপুরদুয়ার জেলারই কুমারগ্রামে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে। সেখানেও অভিযুক্ত নির্যাতিতার আত্মীয় বলে জানা যাচ্ছে। শিশুটিকে নদী থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।