
WB SSC Exam: আন্দোলনে নেমে মাথা কামিয়েছিলেন। প্রতিবাদের মুখ হয়েছিলেন। সেই এসএসসি আন্দোলনের মুখ রাসমণি পাত্র পাঁশকুড়া গার্লস হাই স্কুলে বসলেন এসএসসি পরীক্ষায়। ২০১৯ সাল থেকে তারা রাস্তায় ছিলেন। এসএসসি যোগ্য চাকরি প্রার্থী হিসেবে আন্দোলনের ঠিক ১০০০ দিনের মাথায় মাথার চুল কামিয়ে আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন রাসমণি পাত্র। চাকরির দাবিতে মাথা ন্যাড়া করে রাস্তায় প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন রাসমণি পাত্র।
এসএসসি পরীক্ষা দিতে এসে রাসমণি পাত্র জানান, কমিশনের অপর আর আস্থা নেই তাদের। এই পরীক্ষা আমাদের জন্যে অন্যায়। সরকার আর কমিশন দায় ঢাকতে যোগ্যদের ওপর দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছে। সরকার বারবার ডেডলাইন দিয়েছে সেই প্রতিশ্রুতি কোথায়? প্রতারণা করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে এমনটাই জানান রাসমণি
অন্যদিকে, নদীয়ার শান্তিপুরে কালোজামা পরে প্রতিবাদ জানিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে চাকরিহারা পরীক্ষার্থী। স্কুল সার্ভিস কমিশন বা রাজ্য সরকার কাউকেই ভরসা করতে পারছেন না চাকরিহারা পরীক্ষার্থীরা। পুরোনো চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষা অনেকটাই চ্যালেঞ্জের তবে আশাবাদী নবাগত পরীক্ষার্থীরা।
১৪ সেপ্টেম্বর, রবিবার এসএসসির দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নদীয়ায় ২৬টি ভেন্যুতে মোট ১৫ হাজার ৮৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। সব মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৫২৪ জন।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসনের অন্দরে উচ্চ পর্যায়ের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান বৈঠকে পরীক্ষার যাবতীয় নির্দেশিকা ব্যাখ্যা করেন। মোবাইল ফোন, স্মার্ট ঘড়ি এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
প্রতিটি কেন্দ্রে ফ্রিস্কিং-এর বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য ক্লোক রুমের ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে মোবাইল, স্মার্ট ঘড়ি এবং অন্যান্য গ্যাজেট জমা রাখা যাবে। প্রতিটি জিনিসপত্র জমা দেওয়ার পর পরীক্ষার্থীদের একটি টোকেন দেওয়া হবে, যাতে পরীক্ষার পর সহজে নিজের জিনিস ফেরত নেওয়া যায়। ক্লোক রুম পরিচালনার জন্য কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফ্রিস্কিং-এর সময় পুরুষ ও মহিলা পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা লাইন রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে পুলিস প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য গোপন নথি ট্রেজারি অফিস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ রুট ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি রুটের জন্য পৃথক তত্ত্বাবধায়ক অফিসার নিয়োগ করা হবে। সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করা হবে যাতে সব পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র একই সময়ে পৌঁছয় এবং কোনও কেন্দ্রে সময়ের ব্যবধান খুব বেশি না হয়।নদীয়ার শান্তিপুর কলেজে পড়েছে পরীক্ষার কেন্দ্র।
সকাল থেকে পরীক্ষার্থীদের বিয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে। চাকরি হারা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছেন আপাতত পরীক্ষার্থীরাও সে ক্ষেত্রে অনেকটাই চ্যালেঞ্জ পরীক্ষা জানাচ্ছেন তারা। অপরদিকে বেশ কিছু চাকরিহারা পরীক্ষার্থী কালো জামা পড়ে প্রতিবাদ জানিয়ে পরীক্ষা দিতে এলেন শান্তিপুর কলেজে। তারা জানাচ্ছেন এসএসসি দফতর কিংবা রাজ্য সরকার কারণ ওপরে ভরসা করতে পারছেন না। চাকরি হারিয়ে তাদেরকে দিতে হচ্ছে সীতার অগ্নিপরীক্ষা। সকাল থেকেই প্রশাসনিক সফলতার সঙ্গে শুরু হয়েছে এসএসসি দ্বিতীয় ধাপের একাদশ ও দ্বাদশ পরীক্ষা। তুঙ্গে প্রশাসনিক তৎপরতা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।