Haimanti Ganguly: নিয়োগকাণ্ডে রহস্যময়ী হৈমন্তী কখনও মডেল-কখনও ব্যবসায়ী , ছবিতে দেখুন গোপালের স্ত্রীকে

গোপাল দলপতির স্ত্রী। যদিও গোপাল দলপতির কথায় বর্তমানে তাঁদের মিউচুয়াল সেপারেশন চলছে। দ্রুত বিবাহ বিচ্ছেদ হবে । যে যার মত করে জীবন কাটাতেই এই ব্যবস্থা।  তবে হৈন্তীর সঙ্গে নিয়োগ  দুর্নীতিকাণ্ডের কোনও যোগ নেই। স্ত্রী ইনোসেন্ট। 
 

হৈমন্তীর দুটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যদিও একটি লককরা। অন্যটিকে গুটি চারেক ছবি রয়েছে মাত্র। কিন্তু ছবিতে স্পষ্ট যে সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় যেকোনও অভিনেত্রীকে চক্কর দিতে পারেন 

হৈমন্তী আদতে হাওড়ার বাকসাড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি মডেল। তবে বেহালায় তাঁর একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আর সেই ফ্ল্যাটই এখন সিবিআই-এর আতস কাচের তলায়। 

এদিনও হৈমন্তীর বেহালার বন্ধ ফ্ল্যাটের সামনে থেকে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খরব সেই নথির তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সালে একটি সংস্থার কাছ ছেকে ২০ লক্ষ টাকার শেয়ার কিনতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন হৈমন্তী।  সেখানে অবশ্য নিজেকে ব্যবসায়ী বলেও পরিচয় দিয়েছেন। 
 

তদন্তকারীদের নজরে এখন হেমন্তীর বেহালার ফ্ল্যাট। সেখানে শেয়ার কেনার কাগজ ছাড়াও একটি বিলাসবহুল হোটেলের প্যাডে ১১টি নাম আর ১২ কোটি টাকার উল্লেখ রয়েছে। সেখানে রোল নম্বরও লেখা রয়েছে। তবে সেগুলি চাকরিপ্রার্থীদের কিনা তও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। 
 

গোপাল দলপতি, চিটফান্ডে আগেই জেলে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত।  তবে হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর এখন সম্পর্ক নেই। তারা বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য মামলা করেছেন। খুব তাড়াতাড়ি বিচ্ছেদ হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন। হৈমন্তী এখনও প্রকাশ্যে আসেননি। কিন্তু গোপাল সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন। সিবিআইকে বলেও নাকি তাঁর দিল্লি সফর। এক ছাদের তলায় না থাকলেও গোপাল কিন্তু হৈমন্তীকে নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। 
 

হৈমন্তী তাঁর জন্যই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়  ফেঁসে গেছে। আপশোস করছেন স্বামী গোপাল দলপতি। তিনি বলেন, সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের সময় ফাইলেই হৈমন্তীর কথা বলা ছিল। সেটা দেখেই কুন্তল সব কিছু বলছে। আর সেই জন্য তিনি নিজে রীতিমত হতাশ। 
 

যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা  তিনি এখনও অন্তরালেই রয়েছেন। ফেসবুক লক। হোয়াটস অ্যাপের ডিপির ছবি বদল। এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন তিনি। যদিও গোপাল বলেছেন, হৈমন্তীকে সামনে এসে সবকিছু খুলে বলার কছা তিনি বলবেন। তবে বর্তমানে তাদের যোগাযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন।

হৈমন্তীর আগে গোপাল দলপতি আরও একটি বিয়ে করেছিল। সেই স্ত্রীর সঙ্গে ১৩ বছর থাকার পর ছাড়া ছাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু হৈমন্তীর সঙ্গে কবে বিয়ে আর কবে থেকে আলাদা থাকা শুরু তা এখনও ফাঁস করেননি গোপাল। 
 

হৈমন্তীর ফেসবুকে রয়েছে মদন মিত্র আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ছবি। যদিও দুই প্রাক্তন মন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁরা চেনেন না। তবে আগামী দিনে সতর্ক থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। 

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গার্লফ্রেন্ড হিসেবেই নিয়োগদুর্নীতি কাণ্ডে উঠে এসেছিল অর্পিতার নাম। সেই সময় তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছিল। এবার সামনে আসছে হৈমন্তীর নাম। অর্পিতার মত তিনিও গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকেই এসেছেন। তাই আলোচনাও একটু বেশি হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার নিয়োগকাণ্ডে ধৃত কুন্তলই হৈমন্তীর নাম প্রথম বলেছিল। তার দাবি ছিল সব টাকা রয়েছে হৈমন্তীর কাছে। সে গোপাল দলপতির স্ত্রী বলেও দাবি করেছিল।