মাতৃভাষাকে অবশ্যই স্বাগত জানিয়েছেন আপামর বাঙালি, কিন্তু, অ্যাপের বাংলা বিভাগে বানানগুলির যা হাল, তা দেখে দুশ্চিন্তায় অনেকেই।
অতি সম্প্রতি বাংলা ভাষায় নিজেদের অ্যাপের সুবিধা উপলব্ধ করেছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার সংস্থা জ়োম্যাটো।
কিন্তু, সেই বাংলা ভাষার এমনই দশা ধরা পড়েছে নেটিজেনদের কড়া নজরে, যা এড়াতে পারছেন না মিম-প্রস্তুতকারকরাও।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার আনাচেকানাচে ঘুরে বেরাচ্ছে জ়োম্যাটো-র অতি বিকৃত বাংলা।
কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ‘কেন’? কেউ কেউ আবার ব্যঙ্গ করেছেন, “ঢাকাই সুতির মতো ‘কারাই-সুতি’”।
‘উচ্চারণ’ এবং ‘বানান’ যে এক জিনিস নয়, তা-ও হয়তো বুঝতে পারছেন না বিকৃত বাংলা-র তত্ত্বাবধায়করা।
পিস-এর বদলে ‘পিসি’-র মেলবন্ধন ঘটানোয় বেশ পারিবারিক গন্ধও পেয়েছেন রসবোধি বাঙালি।
কিন্তু, কখনও কখনও আবার বড্ড মাত্রাছাড়া দামাল হয়ে উঠেছে এই শব্দের বেখেয়ালিপনা।
খাবার কেনা তো পরের কথা, আগে খাবারের নাম দেখে তার প্রকৃতি বোঝাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে খাদ্যরসিকদের কাছে।
অতি প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের নামও বিকৃত বাংলার শিকার হয়ে বেঁকে গিয়েছে।
খুব ভালো রেটিং পেয়েও কার্যত মার খেয়ে যাচ্ছে পিঠেপুলির সুমিষ্ট স্বাদ।
যাহা ‘আপন’ তাহাই যে ‘আপনজন’ নয়, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বঙ্গবাসী।
জ়োম্যাটোর অনূদিত বাংলাভাষা দেখে ‘যুগপৎ হাসি ও কান্না পাচ্ছে’ বলে আক্ষেপ করেছেন জনৈক বাঙালি।
ভারতের অনেক সংস্থাই ডিজিটাল যুগে বাংলা ভাষায় পরিষেবা দিলেও তার যোগ্য মর্মোদ্ধার হয় না।
ভাষার দক্ষ কর্মী এবং স্মার্ট দুনিয়া, এই দুইয়ের মেলবন্ধন ঘটে না বলেই কি পিছিয়ে থাকে সঠিক বাংলার ব্যপ্তি?
আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল জ়োম্যাটো-র ভয়ঙ্কর বাংলার প্রতিস্থাপন।