নির্যাতিত দম্পতি যমুনা বারিকও চাঁর স্বামী নকুলচন্দ্র বারিক চন্দ্রকোনা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভেরবাজার এলাকার বাসিন্দা। দুজনের বয়স ৮০র বেশি।
একমাত্র ছেলে। সর্বস্ব দিয়েও ছেলে আর বৌমার মন পাননি। একটা গোটা রাত কাটাতে হল বাড়ির বাইরে। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা। ছেলে বৌমার কাছে নিশ্চিন্তে থাকতে চেয়ে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলের কাছ থেকে তার বদলে যা পেলেনে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নির্যাতিত দম্পতি যমুনা বারিকও চাঁর স্বামী নকুলচন্দ্র বারিক চন্দ্রকোনা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভেরবাজার এলাকার বাসিন্দা। দুজনের বয়স ৮০র বেশি। তাঁদের একমাত্র ছেলে কাশীনাথ বারিক। বৌমা রুমা। ছেলে অসুস্থ। কিডনির সমস্যা রয়েছে। ছেলে নিজে দেখে বিয়ে করেছে। তারপর থেকেই তাঁদের সংসারে অশান্তি। দম্পতি তাদের জমিজমা বাড়ি সবই ছেলের নামে লিখে দিয়েছিলেন। বর্তমানে তারা নিঃস্ব। যেটুকু টাকা ছিল তা দিয়ে কলকাতা থেকে ছেলের কিডনির চিকিৎসা করেছেন। তবে ছেলের অত্যাচারে শেষপর্যন্ত ঘর ছাড়তে বাধ্য হন দম্পতি।
নির্যাতিতা বৃদ্ধা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের ওপর অত্যাচার করে ছেলে আর বৌমা। কিন্তু লজ্জায় আর কিছু তিনি প্রতিবেশীদের জানাতে পারেননি। ছেলে যখন তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয় তখনই গোটা বিষয়টা সামনে আসে। যমুনা বারিকের অভিযোগ ছেলে মারধর করে। আর বৌমা উস্কানি দেয়। দিনভর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রাতেই স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।মঙ্গলবার সকালে তারা যখন প্রতিবেশীদের সাহায্য বাড়ি ফিরতে চান তখন বেঁকে বসেন ছেলে আর বৌমা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি শুরু করে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধরের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ছেলেকে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন রোজ রাতে ছেলে আর বৌমা বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে মারধর করত। তারা বাইরে থেকে আওয়াজ শুনতে পেতেন বলেও জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।