রাজ্যের জেলমন্ত্রী অখিল গিরিও এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বিতর্কে পড়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর এলাকায় সরকারি জমি থেকে দখল সরাতে আসা বন দফতরের এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে মন্ত্রীর বাকবিতণ্ডা হয়।
মমতা সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এখন রাজ্যের জেলমন্ত্রী অখিল গিরিও এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর এলাকায় সরকারি জমি থেকে দখল সরাতে আসা বন দফতরের এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে মন্ত্রীর বাকবিতণ্ডা হয়। এই সময় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী ওই মহিলা সরকারি কর্মীকে লাঠি দিয়ে মারধরের হুমকিও দেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এখন রাজ্যের জেলমন্ত্রী অখিল গিরিও এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বিতর্কে পড়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর এলাকায় সরকারি জমি থেকে দখল সরাতে আসা বন দফতরের এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে মন্ত্রীর বাকবিতণ্ডা হয়। এই সময় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী নারী কর্মকর্তাকে একাধিক হুমকি দেন।
মহিলা অফিসার ফুটপাতের দোকান সরাতে গিয়েছিলেন
কিছু দোকানদার বন দফতরের জমিতে দোকান বসিয়েছিল খবর পেয়ে মহিলা অফিসার মনীষা সাও দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। খবর পেয়ে মন্ত্রী অখিল গিরিও সেখানে পৌঁছে যান। বিধায়ক দোকান সরানোর বিরোধিতা করেন। মহিলা অফিসার বললেন, স্যার, আপনার সঙ্গে বা কোনও দোকানদারের সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। আমি শুধু আমার কাজ করছি। এই নিয়ে মন্ত্রীমশাই মহিলা অফিসারকে গালিগালাজ করে তোলপাড় শুরু করেন।
বেগতিক দেখে বরখাস্ত করা হয় রাজ্যের জেলমন্ত্রী অখিল গিরিকে। সরকারি কর্মচারির সঙ্গে এহেন আচরণ বরদাস্ত করেননি মমতা সরকার। রাতারাতি বরখাস্তের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এরপরেই মন্ত্রীত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেন মন্ত্রী। এত কিছুর পরেও নিজের অবস্থানেই অনড় তিনি। বলেছেন, "যা করেছি তা নিয়ে অনুতপ্ত নন। তাই ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এলাকার মানুষের জন্য যদি যা করার দরকার আমি করবোই।"