Running Cot for Girl Friend: প্রেমের টানে মানুষ কী না করতে পারে। সত্যিই প্রমাণ যেন একেবারে হাতেনাতে।
Running Cot for Girl Friend: সবে এপ্রিল মাস। কিন্তু বেলা বাড়তেই প্রচণ্ড গরম। তবে হ্যাঁ, সন্ধ্যাবেলায় কিছুটা স্বস্তি। আর ঠিক তেমনই এক সন্ধ্যায় ভৈরব নদীর ধারে প্রেমিকার সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন ডোমকলের নবাব! মানে নবাব শেখের কথা বলছি। হালকা হাওয়া, মাথার উপর উঁকি দিচ্ছে চাঁদ। মনোরম পরিবেশে তাঁর মনের মাঝে থাকা প্রেমিকা বলে বসেন, “যদি একটা খাট থাকত, এখানেই আমরা ঘুমিয়ে পড়তাম।”
প্রেমিকার মুখ দিয়ে বেরোনো সেই কথা ফেলে দিতে পারেননি নবাব। সেই আফসোস যেন তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল। সেই কথা কার্যত, দাগ কেটেছিল নবাবের মনে। আর বাড়ি ফিরেই ইন্টারনেট ঘেঁটে চলমান খাট কীভাবে তৈরি করা যায়, সেই সম্পর্কে শুরু করে দেন পড়াশোনা। শুরু হয় তথ্য সংগ্রহের কাজ।
তিনি প্রেমিকাকে চমকে দিতে চেয়েছিলেন। আসলে মন থেকে নতুন কিছু করার ইচ্ছা থেকেই তিনি এমন একটি খাট বানিয়ে ফেলেছেন। যার জন্য রীতিমতো যানজট তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদের রাস্তায়। একেবারে গাড়ি এবং বাইককে পাশ কাটিয়ে ছুটে চলেছে চলমান সেই খাট।
এমনকি, এই দৃশ্য দেখতে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে পড়ছেন তরুণ-তরুণীরাও। কিন্তু সেই নবাবি খাটে চড়ে ভিডিও বানানোর জেরে সমস্যায় পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শেষে পুলিশের অনুরোধে ঘরে ফিরে গেছেন মুর্শিদাবাদের চলমান নবাবি খাটের সেই প্রেমময় বাদশা।
সেই খাটের গায়ে আবার নকশাও আছে। আর নিচে লাগানো আছে চাকা। এমনকি, খাটে তোশক, চাদর এবং বালিশ দিয়ে আরামের সুন্দর বন্দোবস্তও রয়েছে। কিন্তু ওই খাটকে ঘরে ধরে রাখা যায় না। সেই খাট বেরিয়ে পড়ে রাস্তায় এবং ছুটে বেড়ায় এদিক ওদিক।
চলমান সেই খাটকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আবার লাগানো আছে একটি স্টিয়ারিং। সেই খাটের মালিক নবাব দাবি করছেন, প্রায় ২ বছরের চেষ্টায় তিনি এই ভ্রাম্যমান খাটটি বানিয়েছেন। এই মুহূর্তে কার্যত, সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল সেই ছুটন্ত খাট। আনা যাচ্ছে, ডোমকল মহকুমার একাধিক রাস্তায় দিনভর ছোটার পর আপাতত বিশ্রামে গেছে সেই চলমান খাট।
মঙ্গলবার, ডোমকলের রানিনগর, শেখপাড়া, গোধনপাড়া, কাহারপাড়াএবং রাইপুর এলাকায় খাটটিকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন অনেকে। সেই খাটের দুদিকে আবার রয়েছে দুটি লুকিং গ্লাস। আর ‘গাড়ির আসনে আছে গদি-তোশক।
নবাব জানিয়েছেন, খাটটিকে চলমান করতে ব্যবহার করা হয়েছে ৮০০ সিসির একটি ইঞ্জিন। এটি আসলে একটি প্রোটোটাইপ। মানুষের ভালো লাগে কি না বুঝতে, ঈদের দিন রাস্তায় নামিয়েছিলাম। তবে এটির কাজ শেষ করতে আরও কয়েক মাস লাগবে। আসলে নদীর ধারে একদিন সন্ধ্যায় বসেছিলাম। প্রেমিকা বলল, এত সুন্দর পরিবেশ, একটা খাট থাকলে এখানেই ঘুমিয়ে পড়তাম। এনে তো দিতে পারবি না? পারবি কি আমার জন্য এটা করতে?’ সেটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলাম। ওর আবদার বলে কথা। তাই বানিয়েই ফেললাম এই খাট।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।