সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন চলছে। সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। তবে ৫৩ নম্বর বুথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারকে।
বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে। সকালে থেকেই শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। মুর্শিদাবাদের এই কেন্দ্রের ২৪৬টি বুথের মধ্যে সবকটিকেই স্পর্শকাতার হিসেবে ঘোষণআ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আগে থেকেই ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও একাধিক বুথ থেকেই অশান্তির খরব পাওযা হেছে। সাগরদিধির ২১০ ও ২১১ নম্বর বুথে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। বারালা এলাকায় কংগ্রেস প্রার্থীকেই বুধে ঢুকতে বাধা দেওযা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস বুথের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাঠি নিয়ে তাড়া করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল ডাঙারাইলের ৫৩ নম্বর বুছে। সেখানে মকপোলের অভিযোগ উঠেছিল। তারপরই তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া দেওয়া হয় প্রিসাইডিং অফিসারকে। তারপর প্রায় ৫০ মিনিট পরে শুরু হয় ভোট গ্রহণ।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। সকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় একাঝিক বুথে ঘুরেছেন। পাল্টা বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও একাধিক বুথে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যা উচিৎ নয়। তিনি বলেন নিয়ম অনুযায়ী বুথেক ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশ থাকার কথা নয়। তবে কংগ্রেস প্রার্থী বুথে বুথে ঘুরলেও এখনও কিছুই বলেননি।
মুর্শিদাবাদ মানেই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর খাস তালুক। উপনির্বাচনের দায়িত্বও তিনি নিজের ঘাড়েই নিয়েছিলেন। তিনিও কংগ্রেসের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষ বুঝতে পারেছে বিজেপি আর তৃণমূল একই মুদ্রার দুই পিঠ। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মানুষের থেকে বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকটাই সরে গেছেন। ছাত্রনেতা আনিশ খানের মৃত্যু নিয়োগ দুর্নীতি তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। যা উপনির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলেও দাবি তাঁর।
১৯৫০ সালের গো়ড়ার দিকে এই কেন্দ্র কংগ্রেশের শক্তঘাঁটি ছিল। ১৯৮৭ সাল থেকে সিপিআই(এম) সাগরদিঘি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পরিবর্তনের হাওয়া মুর্শিদাবের সাগরদিঘিতেই প্রথম লেগেছিল ২০১১ সালে। সেই সময় থেকেই এটি তৃণমূলের খাসতালুক। নির্বাচন কমিশন অবাধ আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর থেকেই এই আসনটি ফাঁকা ছিল। তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রীও।