আদালতের কাছে তিহাড় জেলে গিয়ে কেষ্টর দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয় সিবিআই-এর পক্ষ থেকে। তদন্তকারী সংস্থাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
ফের একবার জামিনের আবেদন খারিজ হল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল শুনানিতে জামিনের আবেদন খারিজ করল আসানসোলের সিবিআই আদালত। বর্তমানে গোরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন সহগল। মামলাটির তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এবার সহগলকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই মর্মেই আদালতের কাছে তিহাড় জেলে গিয়ে কেষ্টর দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয় সিবিআই-এর পক্ষ থেকে। তদন্তকারী সংস্থাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে সহগলের মামলার ভার্চুয়াল শুনানিতে কেষ্টর দেহরক্ষী সহগল হোসেনের জামিনের আবেদন করলেন আইনজীবী শেখর কুণ্ডু। কিন্তু আজও সেই আবেদন খারিজ করা হয়। উপরোন্তু কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পাওয়া ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে অনুব্রতর দেহরক্ষীর যোগ থাকার কথা আদালতে জানায় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ব্যাঙ্কে যে মোট ২৩১টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল তা সহগলের প্রভাবেই। এই সংক্রন্ত আরও তথ্যের জন্য তিহার জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইকে সেই অনুমতি দেয় বিচারক।
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গত সাত অক্টোবর টানা জেরার পর তাঁকে জেলবন্দি অবস্থাতেই গ্রেফতার করে ইডি। এরপরই সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। প্রথমে আসানসোল আদালতে এই আবেদন খরিজ হলেও পরে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে মঞ্জুর করা হয় আবেদন। গোরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। এই প্রসঙ্গে আদালতকে ইডি জানিয়েছে, "মূল মামলাটি হয়েছিল দিল্লি থেকে। তদন্তকারী সংস্থার মূল দফতরও দিল্লিতে। কলকাতায় ইডির শাখা দফতর। তাই ইসিআইআর দায়ের করা হয়েছে কলকাতায়। কিন্তু যেহেতু মূল দফতর দিল্লিতে তাই অফিসারদের দিল্লি থেকে তদন্ত করতে আসতে হয়। তাই সহগলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন -
'আমি পাহারাদার হিসেবে আপনাদের জন্য রয়েছি' , আলিপুরদুয়ারের সভায় বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
'তুমি কোন তুমি? আমি তো চিনি ভূমি', নাম না করে বাংলায় বিভেদ সৃষ্টির জন্য বিজেপিকে নিশানা মমতার