মুখ্য নির্বাচন কমিশন রাজীব কুমারকে একটি চিঠি লিখেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা। তাঁর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে।
আবারও আলোচনায় সন্দেশখালি। একের এর এক ভিডিও প্রকাশ নিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে টানাপোড়েন ক্রমশই বাড়ছে। তবে সন্দেশখালি ইস্যুতে আবারও জ়ড়িয়ে দেল জাতীয় মহিলা কমিশ। সন্দেশখালির মহিলার ওপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। আগেই তিনি তথ্য অনুসন্ধান দল পাঠিয়েছিলেন। এবার সন্দেশখালিতে নির্যাতন হয়নি বলে একের পর এক মহিলাদের ভিডিও প্রকাশ হওয়ায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু তারই মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা নির্বাচন কমিশনে পাল্টা অভিযোগ জানালেন রেখা শর্মা।
রেখা শর্মার অভিযোগঃ
মুখ্য নির্বাচন কমিশন রাজীব কুমারকে একটি চিঠি লিখেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা। তাঁর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তিনি আরও বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সন্দেশখালিতে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। সেখানে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছিল। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছিল। তবে বর্তমানে তারা জানতে পেরেছে মহিলাদের বাধ্য করা হচ্ছে অভিযোগ প্রত্যাহারে। আর সেই কারণে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দিয়েছে।
পাল্টা দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের
গত কয়েক দিন ধরেই সন্দেশখালির বিজেপি নেতা ও নির্যাতিতা মহিলাদের ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেখানে অনেকেই দাবি করেছেন গোটা ঘটনা সাজান। তারপরই তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়া ও নেত্রী শশী পাঁজা জাতীয় মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁর কমিশনের চেয়ারপার্সেন রেখা শর্মাকে চক্রান্তকারী বলেও দাবি করেছেন। বলেছেন, সন্দেশখালিতে এসে মহিলাদের নির্যাতনের কথা তিনি শুনেছিবেন। রাজ্যপতির কাছেও অভিযোগ জানান। যদিও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এক মহিলা বলেন, দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে গিয়ে একটি সাদা কাজগে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ লিখেয়ে তাতে সই করিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনাকে হারিয়ার করেই মহিলা কমিশনকে নিশানা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বলা হয়েছে মহিলা কমিশনের প্রধান নিজের পদে অপব্যবহার করেছেন।