আরজি কাণ্ডে গত শুক্রবার হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ। এই ঘটনার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সঞ্জয় রায়কে। পেশায় সিভিক ভলান্টিয়া সঞ্জেয়ের হাসপাতালে ছিল অবাধ যাতায়াত। কিন্তু এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরে ধৃতকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করল নিহতের পরিবার। নিহত চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছেন, মেয়ের দেহ দেখে তাঁদের অনুমান সেই ভয়ঙ্কর নৃশংসতা একার পক্ষে কখনই সম্ভব নয়।
নিহতের মাও এদিনও ধৃত সঞ্জয় রাইকে নিয়ে ক্ষোভ জানান। তিনি বলেন, তাঁরা আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন , যে গ্রেফতার হয়েছে তাকে তারা আসল দোষী বলে মনে করেন না। এদিন তিনি বলেন, 'মেয়ের মৃতদেহ দেখে আমাদের মনে হয়েছে একার দ্বারা এই নৃশংসতা সম্ভব নয়। ' এই একই দাবি করেছে নিহত চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে একাধিক মানুষ জড়িত ছিল। একার দ্বারা এই ঘটনা ঘটান হয়নি। সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত ছিল বলেও তারা মনে করে। নিহতের মা বলেছেন, সেই রাতে তাদের মেয়ে যে সেমিনার হলে ঘুমাচ্ছে তা সঞ্জয়ের মত সাধারণ একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের সেটা জানান কথা নয়। এই খবর কেবলমাত্র বিভাগের লোকেরাই জানত। মৃতার মায়ের দাবি, 'ভিতরের কেউ জড়িত না থাকলে বাইরের লোক কীভাবে জানল আমরা মেয়ে কোথায় রয়েছে?'
মৃতার মা আরও অভিযোগ করেছেন, প্রথমেই তাদের বলা হয়েছিল তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে চায়। কিন্তু কেন মিথ্যা কথা বলা হল তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নিহতের পরিবার। মৃতার মায়ের অভিযোগ তাদের মৃত মেয়ের মুখটাও দেখতে দিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিজার লিস্টের তৈরির সময়ও তিনি ছিলেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশ প্রথম থেকেই কেসটা ঘোরাতে চষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ নিহতের মায়ের।
চিকিৎসকের পরিবারের দাবি এই ঘটনায় ডিপার্টমেন্টের কেউ কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে অনেক বড় চক্র রয়েছে। হাসপাতালে অবৈধ কাজ হত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সিবিআই তদন্তের ওপর আস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।