আর কী বলেছেন কল্যাণ! সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে মেয়ের বয়সী বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকেও ছাড়েননি তিনি। দীপ্সিতাকে আক্রমণ করতে তাঁর ঠাকুরদার প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি।
শ্রীরামপুরের বাম প্রাথী দীপ্সিতা ধরকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০ মে নির্বাচন রয়েছে শ্রীরামপুর। কল্যাণ, দীপ্সিতা এবং কবীর শঙ্করের ত্রিমুখী লড়াইয়ে শেষ অবধি কে বাজিমাত করল জানা যাবে আগামী জুন মাসে। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেই দীপ্সিতাকে নিশানা করেছেন কল্যাণ। বাম প্রার্থী সম্বন্ধে বলেছিলেন, ‘প্রথম থেকেই দীপ্সিতা ভীষণ নোংরা নোংরা কথাবার্তা বলছে। ও খুব ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। ও জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হতে পারে, তবে মানসিকতা ভীষণ খারাপ’।
আর কী বলেছেন কল্যাণ! সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে মেয়ের বয়সী বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকেও ছাড়েননি তিনি। দীপ্সিতাকে আক্রমণ করতে তাঁর ঠাকুরদার প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। বলেন, ‘পদ্মনিধি ধর (দীপ্সিতার ঠাকুরদা) কী করেছিলেন ডোমজুড়ের জন্য? সেই সিপিএম আবার আসবে? দীপ্সিতা ধর না কি এত উচ্চশিক্ষিত যে Phd করতে ওর ৯ বছর লেগেছিল। আমিও পড়াশুনো করেছি। হাইকোর্টে কাজ করেছি। বিয়ে করে সংসার করেছি। বাম প্রার্থী এত উচ্চ শিক্ষিত হলে এখনো কিছু করতে পারেননি কেন?’
দীপ্সিতাকে নিশানা করার পর প্রাক্তন জামাতা তথা বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বোসকে নিয়ে সরব হন কল্যাণ। শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ বলেন, ‘শ্রীরামপুরের রাজনীতিতে বিজেপি প্রার্থীর কী ভূমিকা রয়েছে? তিনি কেন বারবার শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী হন? শ্রীরামপুর চিনেছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। প্রাক্তন শ্বশুরমশাইয়ের পরিচয়েই উনি প্রার্থী হচ্ছেন। ওনার পরিচয় কেউ জানেন না’।
উল্লেখ্য, আক্রমণ প্রতি আক্রমণের ধারা অব্যাহত দুই রাজনীতিবিদের মধ্যে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের মধ্যে। তারই মাঝে দীপ্সিতাকে কটু কথায় আক্রমণ করেন কল্যাণ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।