আদালত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পরেও সেই ঔদ্ধত্য বজায় ছিল। তবে সিআইডির তদন্তকারী অফিসারদের প্রশ্নের ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করেছেন শাহজাহান। প্রথমের সেই কনফিডেন্স আর দেখা যাচ্ছে না।
আদালত চত্বরে যে ভঙ্গিতে তাঁকে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল, তা দেখে অনেকের মনেই সন্দেহ জেগেছিল, আদপে শেখ শাহজাহান পুলিশকে গ্রেফতার করেছেন, না পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করাচ্ছে? আদালত কক্ষে প্রবেশের আগে উদ্ধত ভঙ্গিতে তাঁর আঙুল নাড়ানো দেখে অবাক হয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সূত্রের খবর, আদালত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পরেও সেই ঔদ্ধত্য বজায় ছিল। তবে সিআইডির তদন্তকারী অফিসারদের প্রশ্নের ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করেছেন শাহজাহান। প্রথমের সেই কনফিডেন্স আর দেখা যাচ্ছে না। যদিও সিআইডি সূত্রে খবর, একের পর এক চোখা চোখা প্রশ্নের জেরে শুক্রবার সকাল থেকে চেনা ঔদ্ধত্য গায়েব হয়েছে শাহজাহানের। পুলিশের কিছউ অফিসারদের মতে, প্রাথমিক ঔদ্ধত্য ছিল এটা ভেবে যে দলের নেতা-নেত্রীর হাত থাকবে তাঁর মাথায়। কিন্তু সিআইডির পোড় খাওয়া তদন্তকারীদের একের পর এক প্রশ্নবাণ এবং তাঁদের আচরণ থেকে যখন বুঝতে পারেন তাঁর অবস্থান আর-দশটা সাধারণ অভিযুক্তের মতোই, তখন থেকে বিধ্বস্ত হতে শুরু করেন শাহজাহান।
এই তদন্তে ইডির সেই কর্তাকেও তলব করেছে সিআইডি, যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছিল। সিআইডি সূত্রের দাবি, ওই ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরব ভারিলকে রবিবার তদন্তকারীদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চায় সিআইডি।