কয়েলার ট্রাকের খালাসি থেকে 'কয়েলা মাফিয়া', সিনেমার গল্পকেও হার মানায় রাজু ঝাঁ-এর উত্থানের কাহিনি

২০০৩-২০০৪ সালের মধ্যেই ব্যবসা শুরু করেন সে। প্রথম জীবনে রানিগঞ্জে কয়লার ট্রাকের খালাসি হিসেবে কাজ শুরু।

Web Desk - ANB | Published : Apr 2, 2023 3:10 AM IST / Updated: Apr 02 2023, 09:07 AM IST

শক্তিগড়ের 'ফিল্মী' কায়দায় শ্যুট আউটের ঘটনায় উঠে আসছে আরও নতুন তথ্য। শনিবার শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের কাছে জাতীয় সড়কের কাছে খুন হল কয়েলা ব্যবসায়ী রাজু ঝাঁ। কিন্তু কে এই রাজু ঝাঁ? কোন উদ্দেশ্যে খুন করা হল তাঁকে। উঠেছে হাজারো প্রশ্ন। জানা যাচ্ছে শক্তিগড়েই কয়েকলার ব্যবসা করেন রাজু। ২০০৩-২০০৪ সালের মধ্যেই ব্যবসা শুরু করেন সে। প্রথম জীবনে রানিগঞ্জে কয়লার ট্রাকের খালাসি হিসেবে কাজ শুরু। তারপর নিজের ব্যবসা শুরু করেন অর্গানাইজডভাবে কয়লা ট্রান্সপোর্টের মধ্যে দিয়ে। শুরু হয় বেআইনিভাবে কয়লা পাচার। পরবর্তীকালে 'কয়লা মাফিয়া' হিসেবে পরিচিত হন রাজু ঝাঁ। একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছে রাজু ওরফে কয়লা মাফিয়া।

সূত্রের খবর অবৈধ কয়লার কারবার, চোরা চালানে রাজুর নাম ছিল প্রথম সারিতে। অণ্ডাল থেকে ডানকুনির আগে পর্যন্ত তাঁর কয়লার ব্যবসার নামে চলত এই চোরা কারবার। এর আগেও বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজুর নামে। কয়লার কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলও খেটেছিলেন ২০০৬ সালে। ২০২১ সালে ফের কয়লা সংক্রান্ত অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রাজু। তবে পুলিশ, জেল, মামলাকে বিশেষ তোয়াক্কা করতেন না রাজু। ২০০৬ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে আরও বড় হয় রাজুর ব্যবসা। দুর্গাপুরে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর নামে একটি শপিং মলে রেস্তরাঁ, পার্কিং প্লাজ়া, শাড়ির দোকান, হোটেল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর এককালে রাজুর ব্যবসার টার্ন ওভার ছিল প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। কয়েলার পাশাপাশি ভলভো গাড়ি ও হোটেলের ব্যবসাতেও নাম ছিল রাজুর।

শনিবার রাত ৮টা নাগাদ ১৯ জাতীয় সড়কের উপর শক্তিগড় ল্যাংচা হাবের সামনে একটি নীল রঙের চারচাকা গাড়িতে করে এসে দাঁড়ায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। ওই দোকানের সামনেই আরেকটি সাদা রঙের ফরচুনা গাড়ির ভেতর চালকের পাশের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝা, ওরফে রাজেশ ঝা নামে দুর্গাপুরের একজন কয়লা ব্যবসায়ী, তাঁর বয়স পঞ্চাশের ওপর। দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। স্থানীয়দের দাবি, এক নাগাড়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ বার গুলি চালানো হয়। রাজুকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছিল, ঘটনার সময় তাঁর কানে ইয়ারফোন গোঁজা ছিল। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গাড়ির কাঁচ ফুঁড়ে গুলি ঢুকে ঝাঁঝরা হয়ে যায় রাজুর শরীর। গাড়ির মধ্যে তিনি একেবারে লুটিয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন - 

শক্তিগড় ল্যাংচা হাবের সামনে শুটআউট, দুর্গাপুরের কয়লা ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি

ছুরি নয়, জন্মদিনের কেক কাটা হচ্ছে বন্দুক দিয়ে! যুবকের আস্পর্ধা দেখে হতবাক দিল্লি পুলিশ

‘আপনি ভিখারি হলেও স্ত্রীয়ের খোরপোশের দায় আপনাকেই নিতে হবে’, ডিভোর্সরত স্বামীর উদ্দেশে নির্দেশ আদালতের

Share this article
click me!