আবারও কোলিয়ারি এলাকায় গুলি চলল। এবার গাড়ির ভিরত থেকে উদ্ধার হল বিজেপি নেতার নিথর দেহ। যা নিয়ে চাঞ্চল্য জামুড়িয়ায়।
শক্তিগড় শ্যুটআউটের এক মাসও পার হয়নি। এখনও রহস্যের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। একরই মধ্যে আবারও খুন কোলিয়ারি এলাকা। এবারও ঠিক একই কায়দায় জাতীয় সড়কের ওপর গুলি করে খুন করা হল বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউকে। বছর ৪০ রাজেন্দ্র সাউ আসানসোল পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কনভেনার ছিলেন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে রীতিমত রহস্য তৈরি হয়েছে। কারণ রাস্তার পাশে যেভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল তাতেই পুলিশের অনুমান তাঁকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। সবদিক খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। তেমনই জানিয়েছে একটি সূত্র।
শনিবার দুপুরে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির চাঁদা মোড়ের কাছেই বোগড়া কালি মন্দিরের কাছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি স্করপিও গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় রাজেন্দ্র সাউ-এর নিথর দেহ। তাঁর বাড়ি আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার রানিসায়র এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাজেন্দ্র সাউকে তাঁর নিজের গা়ড়ির মধ্যেই আততায়ীরা ঢুকে হত্যা করে। কারণ গাড়ির পাশেই পড়েছিল একটি কার্তুজ। আর গাড়ির ভেতরে তাঁর দেহ।
ঘটনাস্থলে দ্রুতই পুলিশ পৌঁছায়। তদন্ত শুরু করেছে। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। রাজেন্দ্র সাউ একটি রেশন দোকানেরও মালিক। ব্যাবসা না রাজনৈতিক কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ সূত্রের খবর রাজেন্দ্র সাউ-এর ডান কানের নিচের দিকে গুলি লেগেছে। গুলির খোল গাড়ির সামনেই পড়ে ছিল। রাজেন্দ্রের পরিবারের সদস্যরা দেহ সনাক্ত করেন। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এলাকার বিজেপি নেতা। তবে এই এলাকায় কী কারণে রাজেন্দ্র গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। পাশাপাশি পুলিশের মনে প্রশ্ন, রাস্তার পাশে গাড়ি নিয়েতিনি কেন দাঁড়িয়েছিলেন।কারণ রাস্তার পাশে গাড়িটি অক্ষত অবস্থায় ছিল। আর ভিতরে ছিল তাঁর দেহ। সূত্রের খবর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান রাজেন্দ্র সাউ কোনও পরিচিতে সঙ্গেই রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। যারা গুলি করেছিল তারা রাজেন্দ্রর পরিচিতও হতে পারে বলে পুলিশ অনুমান করছে বলে সূত্রের খবর।