আপাতত জেল হেফাজতে জীবনকৃষ্ণ সাহা, এখনও দলের ওপর আস্থা প্রকাশ বড়োঞার বিধায়কের

১১ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে মুর্শিদাবাদের বড়োয়ার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। স্কুল শিক্ষক হিসেবে বেতন গ্রহণ। যা বন্ধের সুপারিশ করল সরকার।

 

বড়োঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের আর্জি খারিজ। আগামী ১১ মে পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে তিনি এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন দল তাঁর পাশেই রয়েছে। দলের ওপর তাঁর আস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন জীবনকৃষ্ণ সাহাকে যখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময়ই তিনি বলেন তিনি কোনও অন্যায় করেনি আর সেই কারণেই তাঁর পাশে রয়েছে দল। তবে এই নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসকেই নিশানা করেছে বলেছে চোর সর্বদা চোরের পাশে থাকে। পাশাপাশি দুই রাজনৈতিক দলেরই প্রশ্ন জীবনকৃষ্ণ সাহা যদি কোনও অন্যায় না করে থাকে তাহলে পাঁচিলে উঠে ফোন কেন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন চোর আর তৃণমূল কংগ্রেস সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, ফোন কেন জলে ফেলেছিল। পাশাপিশি তিনি বলেন তাঁর বাড়িতেও পুলিশ এসেছিল কিন্তু তিনি এসব কিছুই করেননি। অন্যদিকে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, চোর সর্বদাও চোরকে সমর্থন করে।

যাইহোক যে জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হওয়ার সময় থেকেই তাঁর ফোন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ তাঁর বাড়িতে সিবিআই যাওয়ার পরই তিনি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। যদিও সিবিআই পুকুর ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেছিল। আর একটি ফোন পেয়েছিল বাড়ির পাশের ঝোপে। দুটি ফোনই পরীক্ষা করা হয়। এদিন সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করে তাঁর ফোনে কিছু পাওয়া গেছে কিনা। তাঁর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন তাঁর ফোন থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।

Latest Videos

তবে এখানেই শেষ নয়, জীবনকৃষ্ণের জীবনে রীতিমত সমস্যা নেমে এসেছেষ কারণ এতদিন ধরে বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও তিনি স্কুল শিক্ষক হিসেবে বেতন নিতেন। বিধায়ক ভাতাও পেতেন তিনি। বিধায়ক হওয়ার পরে স্কুলে না গিয়েও প্রতিমাসে বেতন নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার বড়োঞার বিধায়কের বেতন বন্ধের সুপারিশ করেছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যেদিন থেকে তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে সেইদিন থেকেই বেতন বন্ধ করা হবে বলেও সূত্রের খবর।

জীবনকৃষ্ণ সাহা ২০০৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ২০১৩ সালে বীরভূমের নানুরের দেবগ্রাম হাইস্কুলে চাকরি পান। তারপর বদলি নিয়ে ২০২১ সালে জীবনকৃষ্ণ চলে আসেন, কুণ্ডল হাইস্কুলে। যদিও বিধায়ক হওয়ার পরেই তিনি স্কুলে ছুটি নেন। কিন্তু বেতনে ছুটি পড়েনি। নিয়মিত বেতন তিনি নিতেন। সঙ্গে বিধায়ক ভাতাও গ্রহণ করতেন তিনি। যা করা যায় না। বেআইনি বলেও দাবি করেছেন অনেকে।

Share this article
click me!

Latest Videos

Malda-র রাস্তায় সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ কর্মসূচি! সচেতনার বার্তা র‍্যালির মাধ্যমে
RG Kar Case Update Today : চাইলেন না চরম শাস্তি! মোক্ষম চাল দিলো অভয়ার পরিবার | Calcutta High Court
এবার আগুনের গ্রাসে অন্য এলাকা! পুড়ছে স্যান দিয়েগো কাউন্টির একাধিক অংশ San Diego fire | Wildfires
Suvendu on Kartik Maharaj : কেন পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কার্তিক মহারাজ? খোলসা করে সবটাই বললেন শুভেন্দু
Suvendu on Trump : ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভেন্দু অধিকারী, কারন জানলে অবাক হবেন