
ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গেও। যদিও তা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে বিতর্ক। সম্প্রতি বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় লক্ষ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। আর এবার পশ্চিমবঙ্গে এমনই সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হলে কী হবে, তা নিয়ে চলছে আইনী লড়াই। রাজ্যের তৃণমূল সরকার সম্পূর্ণ বিরোধী এই প্রক্রিয়ার। অবশেষে কী হতে চলেছে, তা তো সময়ই বলবে, তবে তার আগে জানা গিয়েছে মারাত্মক তথ্য।
দেশজুড়ে একদিকে CAA ও NRC নিয়ে বিতর্ক, আর তারই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে চলেছে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন ২০২৫ (Special Intensive Revision 2025) অর্থাৎ, ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আগস্ট মাস থেকেই রাজ্য জুড়ে BLO-দের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। আর এই সংশোধনের বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে বহু ভোটারের উপর। বিশেষ করে যাদের এখনো পর্যন্ত ডকুমেন্ট ঠিক নেই।
জানা গিয়েছে গত ৩ মাসে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রচুর মানুষ। অর্থাৎ ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন জমা পড়ার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে চার গুণেরও বেশি। গত দুমাসে এই সংখ্যা সবথেকে বেশি বেড়েছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায়। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে যত নাম জমা পড়েছে, তা মোট আবেদনের নাকি ৫৮ শতাংশ!
এই বিষয়টাই অবাক করছে নির্বাচন কমিশন কর্তাদের। কমিশনের নয়া নির্দেশ অনুযায়ী ৩০ বছরের ওপর নতুন আবেদনকারীর বয়স হলে তার শুনানি করতেই হবে। কমিশনের রেকর্ড বলছে পয়লা জুন থেকে ৭ই অগাষ্ট পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম তোলার হিড়িক বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত যেখানে মোট আবেদন হয়েছে ২,৩৩,১৩০টি, সেখানে জুন থেকে অগাষ্টের মধ্যে নাম জমা পড়েছে ১০,০৪,৬৬৬টি। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে নাম জমা পড়েছে অর্ধেকেরও বেশি। সীমান্তবর্তী জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সংশোধন প্রক্রিয়া?
সম্প্রতি বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় লক্ষ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। আর এবার পশ্চিমবঙ্গে এমনই সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। সূত্র বলছে, পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যাটা বিহারের থেকেও বেশি হতে পারে। কারণ অনেকের কাছে এখনো পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। আর অনেকে বহু বছর আগে ঠিকানা পরিবর্তন করছে বা পরিবার সূত্রে নাম ঢুকিয়েছে, কিন্তু যথাযথ প্রমাণ নেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।