
Special Intensive Revision West Bengal: এনুমারেশন ফর্ম জমার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ভোটারদের জমা দেওয়া নথি যাচাই করে এবার সন্দেহজনক ব্যক্তিদের শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার শুরু হচ্ছে শুনানি। প্রথম পর্যায়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি ভোটারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যাঁরা ২০০২ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকার সঙ্গে নিজেদের কোনও যোগ দেখাতে পারেননি সেই ব্যক্তিদের ‘নো ম্যাপিং’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১.৩৬ লক্ষ ভোটারকে ‘সন্দেহজনক’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও শনিবার শুনানিতে হাজির হতে হবে। শুনানিতে যাঁদের ডাকা হয়েছে, তাঁদের নিজেদের জমা দেওয়া তথ্য প্রমাণ করার জন্য উপযুক্ত নথি জমা দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুনানিতে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের পরিচয়পত্র বা পেনশনভোগীদের নথি, ১৯৮৭ সালের আগে পোস্ট অফিস, ব্যাঙ্ক, এলআইসি বা স্থানীয় পঞ্চায়েত, পুরসভার দেওয়া নথি, জন্ম শংসাপত্র, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক বা অন্যান্য পরীক্ষায় পাশ করার শংসাপত্র, রাজ্য সরকার প্রদত্ত বসবাসের নথি, জঙ্গলের অধিকার সংক্রান্ত শংসাপত্র, জাতের শংসাপত্র, পরিবারের পঞ্জি, সরকার প্রদত্ত জমি বা বাড়ির শংসাপত্র প্রামাণ্য নথি হিসেবে জমা দেওয়া যাবে। একমাত্র পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড (Aadhaar card) গ্রহণযোগ্য হবে না।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাঁরা শুনানিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের উপযুক্ত নথি জমা দিতে হবে। সেই নথি ঠিক কি না তা যাচাই করা হবে। ভোটারদের জমা দেওয়া নথি বিএলও-দের অ্যাপে আপলোড করতে হবে। তারপর সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব নথি যাচাই করতে হবে। নথি যাচাই করবেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক। নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক, পর্যবেক্ষকরাও ভোটারদের নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকছেন। দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।