
Jalpaiguri News: পুলিশ ফাঁড়িতে দাদাগিরির অভিযোগ ।পুলিশকে মারধর করার অভিযোগ। ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে তুলে হেফাজতে নিল পুলিশ। জানা গিয়েছে, পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ধূপগুড়ি ডাউকিমারি পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে দাদাগিরি চালায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। ফাঁড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।
ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ফাঁড়ির ওসি সহ পুলিশ কর্মীরা এলে তাদের উপর আক্রমন চালায় বলে অভিযোগ। শনিবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ফাঁড়িতে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। তিনি পৌঁছে ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ধূপগুড়ি থানায় নিয়ে যায়। এর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক ধৃতদের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, আবারও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার মুর্শিদাবাদের। একটি পাইপ ও একটি কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করল মুর্শিদাবাদের নওদা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিরুউদ্দিন মন্ডল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ এই আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতের বাড়ি নওদা থানার বুচিয়াডাঙ্গা এলাকায়। শনিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের চাঁদপুর মালিক খাপারা এলাকায় ফেরি ঘাটের কাছে তল্লাশি চালানোর সময় মহিরুউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। তাকে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে, রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে গেল রোমহর্ষক ঘটনা। লিভ-ইন পার্টনারের চোখে ছুরি চালানোর অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম প্রতিমা দাস। অভিযোগ, দীর্ঘদিনের সহবাসের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের জেরেই এই রক্তাক্ত পরিণতি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ বছর ধরে প্রতিমা দাস ও শ্যামল দাস একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। তাঁদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক না থাকলেও স্থানীয় মহলে তাঁরা দম্পতি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে সম্প্রতি শ্যামল দাসের সঙ্গে অন্য এক মহিলার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এই সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি বেড়ে ওঠে। অভিযোগকারীর বক্তব্য, ওই সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই প্রায়শই বাদানুবাদ হত দুজনের মধ্যে। ঘটনার দিনও বাগ্বিতণ্ডা চলছিল। সেই সময় আচমকাই প্রতিমা দাস রান্নাঘর থেকে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে এসে শ্যামল দাসের চোখে আঘাত করেন।
ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হন শ্যামল। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর শ্যামল দাসের পক্ষ থেকে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় পুলিশ এবং প্রতিমা দাসকে গ্রেফতার করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।