অসহায় বিধবা বৃদ্ধা মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার, শ্লীলতাহানির অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

Published : Aug 24, 2025, 10:04 AM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Sonarpur News: এলাকার অসহায় এক বিধবা মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। কোথায় ঘটল এমন ঘটনা? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Sonarpur News: রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কৃ্ষ্ণপদ মন্ডলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক বিধবা মহিলা। তাঁর দাবি, কাউন্সিলার তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা তোলা দাবি করেন। টাকা না দিলে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

অভিযোগকারিণী মহিলার স্বামী জীবিত থাকাকালীন স্থানীয় বাজারে একটি দোকান চালাতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রথমদিকে ওই মহিলা সবজি বিক্রি করতেন। পরে জামাকাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সেই দোকান চালানোর সময় থেকেই নানাভাবে চাপ দেওয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত টাকা না দিলে শ্লীলতাহানির হুমকি ও প্রস্তাবের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওই মহিলার। ঘটনার পর সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

 পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলার কৃ্ষ্ণপদ মন্ডল। তিনি বলেন, ‘’এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি চাই, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং সত্য প্রকাশ্যে আসুক।’’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলী মৈত্রর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা সুনীপ দাস। তিনি জানিয়েছেন, কৃ্ষ্ণপদ মন্ডল ছিলেন লাভলী মৈত্রর চিফ ইলেকশন এজেন্ট। তাই তাঁকে আড়াল করা হচ্ছে। বিজেপি নেতার দাবি, অবিলম্বে কাউন্সিলারকে গ্রেফতার করতে হবে। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷

অন্যদিকে, কসবা থানার মামলায় চার্জশিট দাখিল, চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পুলিশের। মোট ৬৫৮ পাতার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার কসবা আইন কলেজের ছাত্রী গণধর্ষণ মামলার তদন্তে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে মনোজিৎ মিশ্রর নাম। এছাড়াও চার্জশিটে আরও চারজনকে অভিযুক্ত হিসেবে দাবি করেছে পুলিশ। ধৃতের ফরেন্সিক পরীক্ষা ও ডিএনএ টেস্টও করা হয়েছিল। যা উল্লেখ রয়েছে ওই চার্জশিটে।

এছাড়াও বর্তমানে ধৃত ৪ জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় মেরে ফেলা, হুমকি, গণধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর, কসবা কাণ্ডের তদন্তে বড় অগ্রগতি পুলিশের। শনিবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চার্জশিটটি মোট ৬৫৮ পৃষ্ঠার। চার্জশিটভুক্ত অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে- মনোজিত মিশ্র। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা (BNS, 2023)-এর ধারা

127(2)/70(1)/77/118(1)/351(3)/140(3)/140(4)/142/238 এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন 2000–এর ধারা 67A/66E, সঙ্গে BNS-এর 61(2) মামলা চলছে আদালতে। বিষয়টি এখনও আদালতেই বিচারাধীন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি
Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ