লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম না লেখালেই বিপদ! বছর শেষে মহিলাদের জন্য বড় উদ্যোগ নবান্নর

রাজ্যের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পে মহিলাদের মাসে ১০০০ আর পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতি ও উপজাতির সদস্যদের মাসে ১২০০ টাকা দেয় রাজ্য সরকার।

৬০ বছর বয়স হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পেতে শুরু করেন। আলাদা আবেদনে প্রয়োজন পড়বে না।

ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া কার্যকরী করার জন্য পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তৈরি হয়েছে খসড়া।

যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে পেতে বার্ধক্য ভাতার আওতায় আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর ফলে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মহিলা উপকৃত হবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী উপভোক্তাদের প্রতি মাসের আয় এক হাজার টাকার নীচে থাকলে তবেই বার্ধক্য ভাতার এক হাজার টাকা তাঁরা পান।

নবান্ন যদি নতুন পদক্ষেপ কার্যকর করে অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে পেতেই বার্ধক্যভাতার খাতায় নাম সরাসরি উঠে গেলে তাদের জন্য আর আয়ের উর্ধ্বসীমা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

নবান্ন সূত্রের খবর এই বিষয়ে খসড়া তৈরি হয়ে গেছে। শুধুমাত্র মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলেই এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। প্রশাসনিক পদক্ষেপও শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছে নবান্ন।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নেই আয়ের উর্ধ্বসীমা। আগামী দিনে বার্ধক্যভাতেও থাকবে না আয়ের উর্ধ্বসীমা। তাই উপকৃত হবে প্রচুর মহিলা। 

নবান্নের কবর অনুযায়ী রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধে পেয়ে থাকেন।