
West Bengal News: মানিকচকের এক স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তীব্র বিতর্ক। স্কুল বলছে আত্মহত্যা, পরিবার বলছে হত্যা। ৮ দিন ধরে ফ্রিজে সংরক্ষিত ছাত্রের মৃতদেহ। দাবি পুনরায় ময়না তদন্ত ও ন্যায়বিচার, সঙ্গে চলছে দিন রাত মৃতদেহ ঘিরে গ্রামবাসীদের পাহারা।
জানা গিয়েছে, মালদহের মানিকচকের কেদারটোলা গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে অবিযোগ। শুরু হয়েছে মৃত্যু নিয়ে জল্পনা। ৮ দিন ধরে মৃতদেহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছে পরিবার ও গ্রামবাসীরা। তারা পুনর্ময়নাতদন্ত ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছেন।
গত ২ জুলাই রাতে মানিকচকের রোজমেরী মিশনারী স্কুলের হোস্টেল থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শ্রীকান্ত মন্ডলের (১৩) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করে এটি আত্মহত্যা। কিন্তু ছাত্রের পরিবার অভিযোগ করে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাজির হোসেনের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে তাদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ২ জুলাই রাতেই, দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্ত হয়। মৃত ছাত্রের বাবা প্রেমকুমার মন্ডল শুক্রবার ভূতনী থানায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে কেদারটোলা গ্রামের বাসিন্দারা আটদিন ধরে মৃতদেহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছে। তারা রাতদিন দেহ পাহারা দিচ্ছে, যাতে প্রশাসন জোর করে দেহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করতে না পারে। মৃত ছাত্রের আত্মীয় বলছেন, 'বাচ্চা এতই ছোট, আমাদের বিশ্বাস প্রধান শিক্ষকই এই কাজ করেছেন'। অন্যদিকে, প্রশাসনের লোকজন দেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এমন অবস্থায় পরিবারের লোকজন পুনরায় ময়না তদন্তের দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মানিকচকের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবি পরিবার সহ গ্রামবাসীদের। ঘটনার আটদিন পার হলেও মৃত ছাত্রর দেহ ফ্রিজে রেখেছে ভূতনি থানার কেদারটোলা গ্রামের বাসিন্দারা। পুনরায় ময়না তদন্তের দাবি তুলছেন তারা। এছাডা়ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
চলতি মাসের ২ তারিখ রাতে মানিকচকের রোজমেরী মিশনারী স্কুলের আবাসন থেকে দেহ উদ্ধার হয় শ্রীকান্ত মন্ডল নামে অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রের। রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। বিদ্যালয় অবশ্য আত্মহত্যা করেছে ছাত্র বলেই জানায়। গত ২ জুলাই বুধবার রাতে দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্ত হয়।
শুক্রবার পুলিশের কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজির হোসেনের বিরুদ্ধে মৃত ছাত্রর বাবা প্রেম কুমার মন্ডল অভিযোগ দায়ের করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি পরিবারের লোকজনের। সম্প্রতি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রশাসনের তরফে পরিবারকে দেখালেও সন্তুষ্ট নন পরিবার সহ গ্রামবাসীরা। পুনরায় ময়নাতদন্তের দাবি এবং শিক্ষকের শাস্তির দাবি পরিবার সহ গ্রামবাসীদের।
মৃতদেহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছে গ্রামবাসী। একইসঙ্গে গ্রামের বাসিন্দারা দিনরাত এক করে দেহ পাহারা দিচ্ছেন। কারণ, প্রশাসনের লোকজন দেহ নিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের লোকজন পুনরায় ময়না তদন্তের দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।