পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে শিলিগুড়ির পাঞ্জাবিপাড়া এলাকার একটি গ্যারাজে সেনার গাড়িতে এসির গ্যাস ভরা হচ্ছিল। সেই সময় ঘটে দুর্ঘটনা।
গ্যারাজে সেনার গাড়িতে এসির গ্যাস ভরার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি।ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বুধবার শিলিগুড়ির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জাবি পাড়ার ঘটনা বলে খবর। জানা গিয়েছে, গ্যারাজে এসির গাড়িতে গ্যাস ভরার সময় আচমকা বিস্ফোরণে জখম হন চার জন। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রত্যেককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক দে ও শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে শিলিগুড়ির পাঞ্জাবিপাড়া এলাকার একটি গ্যারাজে সেনার গাড়িতে এসির গ্যাস ভরা হচ্ছিল। সেই সময় ঘটে দুর্ঘটনা। তার জেরে আহত হয়েছেন এক সেনা কর্মী সহ চার জন। আহতদের মধ্যে তিন জন গ্যারাজ কর্মী। তাঁরা হলেন সাহেব বিশ্বাস, সঞ্জয় সরকার এবং চিত্ত বিশ্বাস। জখম হয়েছেন এক সেনা কর্মীও।
শ্রমিকরা পরে জানান, এসিতে গ্যাস ভরার কাজ করছিলাম। মিটারে সমস্যা ছিল। প্রেসার কম দেখালেও বেশি ছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। ছিটকে পড়ি সকলে। রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুই বছর ধরে গ্যারেজে কাজ করছি। কোনওদিন এরকম হয়নি।
শিলিগুড়ির তৃণমূল কাউন্সিলর বলছেন ‘‘এসির গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই দোকানের মালিককে আগে একাধিক বার বলেছি লোকালয় থেকে দোকান সরানোর জন্য। কিন্তু, তার পরেও এখানেই গ্যারাজ চালাচ্ছে তারা। এখানে সেনার গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ বিকট আওয়াজ হয়।’’ বোমা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন আশেপাশের মানুষেরা। স্থানীয়রা এসে দেখতে পান গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। ঠিক কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।
কাউন্সিলর মানিক দে বলেন, “আমি ওই ব্যবসায়ীকে নিজে বেশ কয়েকবার এসির গ্যাস ভরার কাজ করতে বারণ করেছিলাম। আমার আশঙ্কা ছিলই যে কোনও দিন এরকম দুর্ঘটনা ঘটবে। ব্যবসায়ী আমাকে জানিয়েছিলেন যে দ্রুত তাঁরা দোকান সরিয়ে নেবেন। কিন্তু তার আগেই আজ বিস্ফোরণের খবর পাই। চারজন আহত হয়েছেন।”