
Jaymalya Bagchi:সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি হিসেবে আগামী সোমবার শপথ নেবেন বাঙালি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী (Jaymalya Bagchi)। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের আরও বিচারপতিরা। প্রিম কোর্টে বিচারপতি পদে অনুমোদিত বিচারপতির সংখ্যা ৩৪। বিচারপতি বাগচীর শপথের পরে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির সংখ্যা হবে ৩৩।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম গত ৬ মার্চ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নাম সুপারিশ করেছিল। তারপরই পদক্ষেপ করে আইন মন্ত্রক। সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আইনমন্ত্রক জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীকে। সেইমত সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবেই শপথ নেবেন তিনি। জয়মাল্য বাগচী আগামী দিনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন। কারণ তাঁর কার্যকাল প্রায় ৬ বছর। ২০৩১ সালের ২৫ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের। তার পরেই দেশের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন বিচারপতি বাগচী। তবে তাঁর অবসর মেয়াদ নেওয়ার সময়সীমা হল ২০৩১ সালের অক্টোবর মাস। যদিও জয়মাল্য বাগচী বিচারপতি হন তাহলে তাঁর কার্যকাল হবে খুব অল্প সময়ের।
কলকাতা হাইকোর্টের বিদায়ী ভাষণে জয়মাল্য বাগচী বলেছিলেন, 'আমি জন্মসূত্রে নবদ্বীপের বাসিন্দা। বাবা ছিলেন আইনজীবী আর মা ছিলেন ডাক্তার। গোটা স্কুলজীবন আমার দ্বন্দ্বে কেটেছে এই ভেবে যে আমি একজন আইনজীবী হব নাকি ডাক্তার। বিদ্যালয় জীবন কেটেছে অত্যন্ত শৃংখলার মধ্যে। কিন্তু আইন কলেজ আমাকে বাস্তব জীবন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেছে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, 'আমি দেওয়ানি মামলা দিয়ে শুরু করি, কিন্তু ক্লায়েন্টরা আমাকে ফৌজদারি মামলাতেই বেশি পছন্দ করত।' অন্ধ্রপ্রদেশের হাইকোর্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, 'আমাকে যখন অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছিল তখন সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবেশে গিয়ে পড়েছিলাম।' কলকাতা হাইকোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, 'মাকে আইনজীবী হিসেবে তৈরি করা এবং পরবর্তীতে বিচারপতি হিসেবে এই হাইকোর্টেই দীর্ঘদিন কেটেছে আমার। আমরা কবিতা লিখি না। আমরা জাজমেন্ট লিখি। তাই সেক্ষেত্রে আইনের প্রাধান্যটা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হয়। আমি জানি কলকাতা হাইকোর্ট সাম্প্রতিককালে দেশের তৃতীয় হাইকোর্ট হিসেবে নজির স্থাপন করেছে মামলা-নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে।' তিনি বলেন, কঠোর আর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকা জরুরি। তাতেই আসে সাফল্য।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।