এই আনাজের দাম বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দামের এই বারবারন্ত বলে দাবি করেন শুভেন্দু।
'আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদীজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?' মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বেনজির আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এবার বাজারের চড়তে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ে তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন তিনি। গত এক মাসের সঙ্গে বাজারের বর্তমান বাজার মূল্যের তুলনা করলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়,'এক মাস পূর্বের বাজার দরের সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের তফাৎ করলে বোঝা যাবে যে হাটবাজারে আগুন লেগেছে। চড়া দামের ছ্যাঁকায় বাঙালি নাজেহাল। অনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকি এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সব্জির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।'
এই প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টও করেন বিরোধী দলনেতা। সেই পোস্টেই গত একমাসে বাংলায় বাজার মূল্য বৃদ্ধির হিসেবও তুলে ধরলেন শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে একাদিক সবজির দাম। হাত পুড়ছে আমিষের দামেও। জুন মাসের গোঁড়ার তুলনায় জুলাই মাসের শুরুতেই অনেটা বেড়েছে আনাজের দাম। এই হিসেব তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। ফেসবুকে তিনি লেখেন,'জুন মাসের গোড়ায় যেখানে বেশিরভাগ সব্জির দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে ছিল তা আজ অবিশ্বাস্য ভাবে বেড়ে গেছে। টমেটোর প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০ - ৩৫ টাকার মধ্যে। আদার প্রতি কেজির দাম ছিল ২৫০ টাকার আশেপাশে। বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। পটলের কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। উচ্ছের দাম ছিল ৫০ টাকার আশেপাশে। পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। পালং শাকের এক আঁটির দাম ছিল ১০ টাকা মত। রুই-কাতলা (কাটা) মাছের প্রতি কেজিতে দাম পড়ছিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। মুরগি মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল।'
এই আনাজের দাম বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দামের এই বারবারন্ত বলে দাবি করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'টাস্ক ফোর্স' গঠনের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। এই টাস্ক ফোর্স-এর কাজ ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক-সব্জির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু এখনও তার প্রতিফলন দেখা যায়নি বলেই উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। সঙ্গে রবিবারের বাজারের দরও এটি ছবির মাধ্যমে তুলে ধরলেন তিনি।