শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি নন্দীগ্রাম থানায় পৌঁছে যান। সেখানেই তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামে আমার মা খুন হয়েছে। রথীবালা আড়ি শুধু সঞ্জয় আড়ির মা নয়।
ভোটের মুখে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। বিজেপি কর্মী রথীবালা আ়ড়ির খুন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই অবস্থাতেই সটান নন্দীগ্রাম থানায় পৌঁছে গেলেন বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে তুনু পুলিশের ওপর হম্বিতম্বি শুরু করে দেন। খুনিদের সঙ্গে পুলিশের কর্তারা বৈঠক করছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি নন্দীগ্রাম থানায় পৌঁছে যান। সেখানেই তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামে আমার মা খুন হয়েছে। রথীবালা আড়ি শুধু সঞ্জয় আড়ির মা নয়। আমারও মা। যারা আমাদের মাকে খুন করেছে । আপনারা খুনিদের সঙ্গে আপনারা কেন বৈঠক করেছেন।' অন্যদিকে পুলিশ থাকে শান্ত হয়ে বসতে বলেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তিনি কথা বললেন না বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, পিছিয়ে পড়াদের খুন করা হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী রীতিমত জোর করেই পুলিশের কাছ থেকে খুনের এফআইআর নম্বর চান। তিনি বলেন, এফআইআর নম্বর চান। তিনি বলেন, কপি তিনি ওয়েব সাইট থেকে বার করে নেূবেন। শুভেন্দু আরও বলেন, সঠিক তদন্ত হচ্ছে না। পুলিশ খুনিদের সঙ্গে বসে বৈঠক করছেন। পুলিশও কিছুটা বাধ্য হয়ে শুভেন্দুকে এফআইআর নম্বর দিয়ে দেয়। দেখুন সেই ভিডিওঃ
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। নিহত রথিবালা আড়ির মেয়ে আর ছেলে কোর্টে যাবে মায়ের খুনের বিচার চাইতে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমঙ্গের তফসিলি জাতির মানুষের কোনও সম্মান নেই। ইচ্ছেকৃতভাবে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, 'মজা দেখাব আইসিকে!'
রথীবালা আড়ির মৃত্যুর পরই বিজেপির স্থানীয় নেতা মেঘনাদ পাল গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, অভিষেকের উস্কানিমূলক ভাষণের কারণেই বিজেপির মহিলা কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।