মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল চালায়। যারমধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী। পিছিয়ে নেয়ই স্বাস্থ্যসাথীও।
স্বাস্থ্যসাথীকে সমস্যা
এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টাকাতে কাটছাঁট হল। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দুইবার এই প্রকল্পের টাকা ছাঁটা হয়েছে।
বাড়ি যাওয়ার টাকা কম
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীদের বাড়িতে ফেরত যাওয়ার জন্য ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু এবার সেই ভাতার টাকাতে কাটছাঁটা করা হয়েছে।
২০০ টাকা
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীদের বাড়ি যাওয়ার টাকা কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। প্রথমে এইক্ষেত্রে ৬০০ টাকা করে দেওয়া হত। পরে তা কমিয়ে ৪০০ টাকা করা হয়। এখন এই টাকা করা হয়েছে ২০০ টাকা।
স্বাস্থ্য ভবনের বিজ্ঞপ্তি
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এই ভাতা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠার পরেই স্বাস্থ্য ভবনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে রোগীরা পাবেন মাত্র ২০০ টাকা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা করে পরিবহন ভাতা পাবেন রোগীরা।
বেসরকারি সংস্থার যোগ
রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালাত একটি বেসরকারি সংস্থা। রাজ্য সরকারি তাদের নিয়মিত প্রিমিয়াম দিত। কিন্তু গত বছরই এই সংস্থা সরে যায়।
রাজ্য সরকারে অধীনে স্বাস্থ্যসাথী
বেসরকারি সংস্থাটি সরে যাওয়ার পরই রাজ্য সরকারের অধীনে চলে যায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।
তারপরই ভাতায় কাটছাঁট
এই ঘটনার পরই কিছুদিনের মধ্যেই প্রকল্পের পরিবহন ভাতা ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। সঙ্গে জানিয়ে দেয়, এর মধ্যে ২০০ টাকা প্রশাসনিক খরচ হিসাবে কেটে নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে দুর্নীতি
অভিযোগ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এই ভাতা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। সম্প্রতি এই নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পরিবহন ভাতা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে হাসপাতালেরই কিছু কর্মীদের বিরুদ্ধে। তারপরই নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্যভবন। অনেকে আবার বলছে সরকারি ভাড়ারে টান পড়েছে। তাই সেইদিক সামাল দিতেই এই সিদ্ধান্ত।