কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ট্যাব কেলেঙ্কারি রাজ্যের ১৫টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ট্যাব কেলেঙ্কারির আঁতুরঘর উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া।
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে। ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। লালবাজার সূত্রের খবর ট্যাব কেলেঙ্কারি রাজ্যের ১৫টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা পৌঁছে গেছে সাইবার অপরাধিদের হতে। ইতিমধ্যেই দয়ের করা হয়েছে অভিযোগ। কলকাতাতেও একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত নেমেছে কলকাতা পুলিশ। তাতেই কলকাতা পুলিশের হাতে এসেছে প্রচুর তথ্য।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ট্যাব কেলেঙ্কারি রাজ্যের ১৫টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ট্যাব কেলেঙ্কারির আঁতুরঘর উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এই সাইবার অপরাধ। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ন্যাশানাল ইনফরমেটিকস সেন্টার ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র যেভাবে বাইরে আসা আটকানো হয়েছে সেভাবেই এই ট্যাব কেলেঙ্কারির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে সমাধান করা হবে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৮১ জন পড়ুয়া ট্যাব কেনার টাকা পায়নি। এরা সাইবার ক্রাইমের খপ্পরে পড়েছে। প্রথম ট্যাব কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসে পর্ব বর্ধমানে। তারপর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জেলা ও পড়ুয়ার সংখ্যা। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১৫টি জেলায় জেলার মধ্যে ১৯৪টি স্কুলের পডুয়ারা ট্যাব কেলেঙ্কারির শিকার হলে তদন্তকারীরা জানিয়েছে। বাকি রয়েছে মাত্র ৮টি জেলা।
লালবাজার জানিয়েছে, ভাড়ার অ্যাকাউন্টগুলির মালিকেরা মূলত উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। সেই সূত্রে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার নাম এসেছে। তদন্তকারীসূত্রের খবর, চোপড়া গোটা সাইবার ক্রাইমের আঁতুড়ঘর। সেখানে থেকে ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে। লালবাজার আরও ৬ জনের খোঁজ করছে। বাকিরা পলাতক। সিট গঠন করে ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।