লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সেরা প্রকল্প, ট্যাব কেলেঙ্কারির পরই শিক্ষা দফতরকে কড়া নির্দেশ নবান্নর

রাজ্যে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দ্বাদশ ও একাশদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার করে টাকা দেয় রাজ্য সরকার। শিক্ষা দফতরের মাধ্যমে এই অর্থ বিলি করা হয়।

সম্প্রতি ট্যাবের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। শিক্ষা দফতরের শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক করা হয়েছে। সেখান থেকেই পডুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে প্রচুর পড়ুয়ার অ্যাকউন্টে টাকা ঢোকেনি।

ট্য়াবের টাকা হ্যাক করায় শিক্ষা দফতরকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আর যাতে পড়তে না হয় তার জন্য নবান্ন শিক্ষা দফতরকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকেই ম়ডেল হিসেবে ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছে। তেমনই খবর সূত্রের।

রাজ্যের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির অন্যতম হল লক্ষ্মীরভাণ্ডার প্রকল্প। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের মাসে ১০০০ ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মহিলাদের মাসে ১২০০ টাকা করে দেয় সরকার।

নবান্ন সত্রের খবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা যেভাবে দেওয়া হয় সেভাবেই যাতে আগামী দিনে ট্যাবের টাকা দেওয়া হয় তারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই মডেল করার পরামর্শ নবান্নের।

ট্যাব সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ একটি বিশেষ বৈঠক করেছেন। নবান্ন সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই শিক্ষা দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের ওই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরামর্শের ছলে বলা হলেও নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকেরা শিক্ষা দফতরের কর্তাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার মডেল অনুসরণ করে পরবর্তী ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করার নির্দেশই দিয়েছেন।

নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী বছর যাতে ট্যাবের টাকা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা না হয়, বেনিয়ম যাতে না হয় তার জন্য প্রথম থেকেই বিশেষ নজর রাখতে হবে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প পরিচালনা করে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত তেমনও কোনও ত্রুটি সামনে আসনি। প্রকল্পটি যথেষ্ট জনপ্রিয়। আর সেই কারণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকেই মডেল প্রকল্প করার কথা বলছে নবান্ন।

নবান্ন সূত্রের খবর কী করে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায়- তা নিয়ে অর্থ দফতরের সঙ্গেও শিক্ষা দফতরকে আলোচনা ও পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নবান্ন সূত্রের খবর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে রাজ্যের ২ কোটিরও বেশি মহিলার হাতে টাকা পৌঁছায়। ২০২১ সাল থেকে এই প্রকল্প চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই মডেল প্রকল্প করার কথা বলা হচ্ছে।