Scholarship: মাধ্যমিক পাশ করলেই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাবেন ১০ হাজার টাকা, জেনে নিন আবেদন করার নিয়ম

মাধ্যমিক পাশ করলেই ছাত্রছাত্রীরা পাবে ১০ হাজার টাকা করে। ২০২১ সালে শুরু হওয়া রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীনেই এই বন্দোবস্ত।

Sahely Sen | Published : Nov 21, 2023 2:31 AM IST

টাকার অভাবে যাতে কারুর পড়াশোনা বন্ধ না হয়ে যায়, সেই উদ্যোগে পড়ুয়াদের জন্য বড় সুযোগ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মাধ্যমিক পাশ করলেই ছাত্রছাত্রীরা পাবে ১০ হাজার টাকা করে। ২০২১ সালে শুরু হওয়া তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের অধীনেই এই বন্দোবস্ত। ছাত্রদরদী এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল পড়ুয়াদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে তাঁদের কাছে পড়াশোনা সংক্রান্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার আরও সহজলভ্য করে তোলা। এর জন্য আবেদন করার পদ্ধতিও বেশ সহজ। নবান্নের এই স্কলারশিপ সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত।

আবেদনকারীকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৫% নম্বর পেয়ে থাকতে হবে। 

শুধুমাত্র মাধ্যমিক নয়, উচ্চমাধ্যমিকে পেতে হবে ৬০ শতাংশ নম্বর। 

অপরদিকে, স্নাতক এবং  স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে থাকতেই হবে। 

আর্থিক বৃত্তি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। 

ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে নিয়ে যেতে অনেক পরিবারকে রীতিমত হিমসিম খেতে হয়। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বাংলার মেধাবী ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যেতে এই বৃত্তি দেয় রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে কতগুলো শর্ত রয়েছে।

আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় হতে হবে ৬০,০০০ টাকা বা তার কম। যদি কোনও পড়ুয়া অন্যান্য কোনও বৃত্তি পেয়ে থাকেন , তাহলে তিনি এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

-

নবান্ন স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রত্যেক বছর সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা করে দেয়। যদিও, বিভিন্ন কোর্সের সময়সীমা এবং সেগুলির খরচ অনুযায়ী শেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ফলাফলের ভিত্তিতে এই স্কলারশিপে টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে। 

-

এর জন্য অফলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রটি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে, সঠিক ভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিসহ পাঠিয়ে দিতে হবে নবান্নের নির্দিষ্ট ঠিকানায়। এই স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলি লাগবে, সেগুলি হল , নবান্ন স্কলারশিপের আবেদনপত্র সেল্ফ ডিক্লেরেশন কপি, পরীক্ষার মার্কশিট, কোনও সরকারি গেজেটেড অফিসারের থেকে পাওয়া পরিবারিক বাৎসরিক আয়ের সার্টিফিকেট, বর্তমান কোর্সে ভর্তির রশিদ, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এলাকার বিধায়কের কাছ থেকে প্রাপ্ত শংসাপত্র।

-

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!