TET Scam: কী আছে প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের ভাগ্যে? CBI চার্জশিট বলছে ভয়ঙ্কর দুর্নীতির কথা

Published : Apr 18, 2025, 11:35 AM IST
Lawyer sends contempt of court notice to CM Mamata Banerjee for those  comment on ssc case

সংক্ষিপ্ত

TET Scam: দুর্নীতি অভিযোগে প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এবার সেই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। 

TET Scam: কী আছে প্রাথকিকের ৩২ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার ভাগ্যে? আশঙ্কায় দিন কাটছে। কারণ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে একসঙ্গে চাকরি হারিয়েছেন ২৫৭৫৩ জন শিক্ষক - শিক্ষিকা আর শিক্ষাকর্মী। যাদের মধ্যে অযোগ্য নয় এমন শিক্ষকরাই ডিসেম্বর মাস পর্যন্তই স্কুলে গিয়ে শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছেন। তবে আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদেরও পরীক্ষা দিতে হবে। এবার কি পথেই হাঁটতে চলেছে রাজ্যের প্রাথমিকের প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষকরা।

দুর্নীতি অভিযোগে প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এবার সেই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। ২০১৪ সালে TET -এর মাধ্যমে এদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এই মামলার চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই।

সিবিআই-এর চার্জশিট-

২০১৪ সালের TET পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই চার্জশিট পেশ করেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যরা একজোট হয়ে দুর্নীতি করেছেন। দুর্নীতিতে পুরোপুরি জড়িয়ে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর OSD প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের TET পরীক্ষা হয়েছিল। ফলপ্রকাশ হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে। গত ডিসেম্বরে আদালতে জমা দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছেন, ২০১৭ সালে যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল তখন ্সংখ্যা চাকরিপ্রার্থী পর্ষদকে চিঠি লিখে জানিয়েছিল যে একটি প্রশ্নের জন্য ২টি সঠিক উত্তপ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর, পর্ষদের তরফে রেজোলিউশন পাস করে বলা হয়, যাঁরা উত্তর 'B' লিখেছিলেন, তাঁদেরকে ১ নম্বর করে দিতে হবে।

কিন্তু এই ১ নম্বরকে কেন্দ্র করেই দুর্নীতি হয়েছিল বলে সিবিআই ১০ পাতার চার্জশিটে দাবি করেছে। সেখানে বলা হয়েছিল ১ নম্বরের ভিত্তিতে যাকে খুশি তাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। CBI-এর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের ১০ নম্বর পাতায় দাবি করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর এরকমই আরেকটা রেজলিউশন পাস হয়। যেখানে মূলত উল্লেখ করা হয়, ২৭০-জন চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ কী হবে। চার্জশিটে CBI দাবি করেছে, ইচ্ছাকৃতভাবেই ২৭০ জনের নাম, রোল নম্বর, বাবার নাম রেজোলিউশনের রাখা হয়নি।

সিবিআই সূত্রের খবর গোটা বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। তাই পর্ষদও কোনও রেকর্ড রাখেননি। এরপর ২৭০ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের জন্য জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলগুলোতে সুপারিশ পাঠান হয়। নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যর চক্রান্তে, ১ নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে, ২৬৪জন চাকরিপ্রার্থীকে বেআইনিভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে, CBI-এর চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে। সিবিআই দাবি করেছে, এই মামলায় অনেক চাকরিপ্রার্থীর মোবাইল নম্বরের কোনও অস্তিত্ত্ব তারা পায়নি।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ছুটির দিনে মহানগরের পারদ পতন, শীতে জবুথবু কলকাতায় আর কতটা নামল তাপমাত্রা?
Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের