কলকাতা হাইকোর্টের কাছে মামলা নিয়ে রিপোর্ট করল সিবিআই। এই রিপোর্টেই রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কলকাতা হাইকোর্টের কাছে মামলা নিয়ে রিপোর্ট করল সিবিআই। এই রিপোর্টেই রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, "টেট পরীক্ষা দেওয়ার পর প্রার্থীদের অনেকে কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। টাকা দিলেই তাদের নাম পাশ করা চাকরি প্রার্থীদের তালিকায় উঠে যেত। তাঁরা ইন্টারভিউতেও ডাক পেতেন।"
মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছে প্রাথমিক দুর্নীতি মামলার রিপোর্টটি জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, টাকা তোলার জন্য একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল। সেই পর্ষদের আসল ওয়েবসাইটের মতো দেখতে সেই ওয়েবসাইটটি। সেখানেই নাম দেখতে পেতেন প্রার্থীরা। এই ভাবেই কুন্তল এবং তাপস দুর্নীতির চক্র চালাত।
তাপস মণ্ডলের কয়েকজন সাব এজেন্ট ছিল বলেও খোঁজ পায় সিবিয়াই। তাঁরাই মূলত টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিকদের কাছ থেকে তুলতেন। প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কুন্তল ও তাপসের পকেটে কোটি কোটি টাকা গিয়েছিল বলে রিপোর্টে দাবি করে সিবিআই।
তাঁদের তৈরি ভুয়ো ওয়েবাইটটি হল www.wbtetresults.com বলে জানিয়েছে তাপস। অবিকল আসল ওয়েবসাইটের মতোই দেখতে এই ওয়েবসাইট। টাকা দিলে সেখানে টেটে অকৃতকার্য প্রার্থীরাও পাশ করে যেতেন। ভুয়ো ইমেইল আইডি থেকে মেইল পাঠিয়ে তাঁদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠান হত।
২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাপস মণ্ডল তাঁর ৮ জন এজেন্টের মাধ্যমে ১৪১ জনের কাছ থেকে মোট ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষকে তাপস প্রায় ৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা দেন । সিবিআই-এর দাবি, একই কায়দায় এবং একই সময় কুন্তল ঘোষও তাঁর তিনজন এজেন্টের মাধ্যমে ৭১ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে মোট ৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন।