বুধবার আদালত জানায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থেই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আপাতত ইডি হেফাজতে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। বুধবারই তাঁর ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার আদালতে পেশ করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। বুধবার আদালত জানায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থেই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রেফতারির পরই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ইডি। কিন্তু ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে তদন্তে সহোযোগিতা করছেন না তিনি। মঙ্গলবার রাতে ১২ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর বুধবার ভদ্রকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ইডি। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে গিয়েছে এক প্রভাবশালী থেকে আর এক প্রভাবশালীর মধ্যে। তদন্তের জাল ফেলে এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরই উঠে আসছে অপর আরেকজনের নাম। সেই ভাবেই হুগলী থেকে গ্রেফতার হওয়া এককালীন যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় উঠে এসেছিল ‘কালীঘাটের কাকু’-র কথা, তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছিল যাঁর আসল নাম, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিতে এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ভূমিকা কতদূর বিস্তৃত, তার খোঁজ করতে নেমেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল ইডি।
৩০ মে, মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি-র অফিস কলকাতার সিজিও কম্পলেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। একটানা ১২ ঘণ্টা ধরে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু, এই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সুজয়কৃষ্ণ একাধিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেননি বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইডি আধিকারিকদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সুজয়কৃষ্ণের বয়ানে একের পর এক অসঙ্গতি রয়েছে।