মোদী জানিয়েছিলেন ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বহু যোগ্য চাকরিপ্রার্থী সমস্যায় পড়েছে। ওই সকল যোগ্য প্রার্থীকে কীভাবে সাহায্য করা যায় সেটা দেখার জন্য আমি বাংলার বিজেপি সভাপতিকে বলেছি। একটা লিগাল সেল এবং একটা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথা বলেছি’।
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এবার সেটা পূরণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। দিনকয়েক আগে বাংলায় ভোট প্রচারে এসে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। মোদী জানিয়েছিলেন ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বহু যোগ্য চাকরিপ্রার্থী সমস্যায় পড়েছে। ওই সকল যোগ্য প্রার্থীকে কীভাবে সাহায্য করা যায় সেটা দেখার জন্য আমি বাংলার বিজেপি সভাপতিকে বলেছি। একটা লিগাল সেল এবং একটা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথা বলেছি’।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পাঁচ আইনজীবীকে নিয়ে বিজেপির লিগাল সেল তৈরি হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে রায় ঘোষণার পরেই চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আগামী বুধবার থেকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের জন্য একটি পোর্টাল চালু হয়েছে। দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে যোগ্য প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিজেপির যে লিগাল সেল আছে, তার তরফ থেকে আমরা পাঁচ সদস্যের একটি টিম তৈরি করেছি। আগামী বুধবার থেকে একটি বিশেষ পোর্টাল শুরু করা হবে। সেখানে যে পরীক্ষার্থীরা নিয়োগ হয়েছিলেন, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের নাম লেখাতে পারবেন’।
সম্প্রতি এসএসসির অধীনে থাকা ২৫,৭৫৩টি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এর পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) ও রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত সে নির্দেশে স্থগিতাদেশ পায়নি রাজ্য। যদিও চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।