কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরাঞ্চলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পরিকাঠামো মজবুত করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফার স্বচ্ছ ভারত মিশনের (শহরাঞ্চল) আওতায় সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
দেশের সবথেকে ১০টি নোংরা শহর অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গেই। এই তালিকায় সব থেকে খারাপ অবস্থায় ছিল হাওড়া। যে নোংরা শহরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল তাতে জায়গা পেয়েছে কল্যাণী, মধ্যমগ্রাম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, রিষড়া, বিধাননগর, কাঁচরাপাড়া, কলকাতা এবং ভাটপাড়া। দেশের সবথেকে নোংরা শহরগুলি চিহ্নিত করার জন্য যে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল তার পাঁচ মাস পর মঞ্জুর করা হল টাকা।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরাঞ্চলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পরিকাঠামো মজবুত করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফার স্বচ্ছ ভারত মিশনের (শহরাঞ্চল) আওতায় সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সব কটি শহরে ২০২৬ সালের মধ্যে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রথম স্বচ্ছ ভারত মিশনের (শহরাঞ্চল) আওতায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করেছিল ৯১১.৩৪ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে, দ্বিতীয় দফার স্বচ্ছ ভারত মিশনে সেই অর্থ দেড়গুণ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ১,৪৪৯.৩ কোটি টাকা। বাংলার শহরগুলিকে পরিষ্কার ও জঞ্জালমুক্ত করতে মোটা টাকা বরাদ্দ করল মোদী সরকার। কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় স্বচ্ছ ভারত মিশনের (শহরাঞ্চল) আওতায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৮৬০.৩৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় সরকার জানাচ্ছে, প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহর থেকে জমে থাকে ৪,০৪৬ টনের মতো কঠিন বর্জ্য। স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে কলকাতা ও ভাটপাড়া ছাড়া ১০০০ পয়েন্ট পার করতে পারেনি কোনও শহর। সেই বর্জ্য পদার্থগুলির ব্যবস্থার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়। ৪,৫০০টি বর্জ্য সংগ্রাহের ইউনিট এবং ৪,৮০০-র বেশি কম্পোস্টিং প্ল্যান্ট বসানোরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। সেই আবেদনেই সাড়া দিয়েছে মোদী সরকার। একটি বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রাজ্য সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছিল সেই কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মঞ্জুর করা হয়েছে অতিরিক্ত অর্থ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।