দুর্গাপুজো শেষ। কিন্তু লড়াই থামেনি।
দুর্গাপুজো শেষ। কিন্তু লড়াই থামেনি। ন্যায় বিচারের দাবিতে একসঙ্গে লড়াই করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সেইসঙ্গে, চাইছেন নিজেদের নিরাপত্তাও। আর জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনকে প্রথম থেকেই কুর্নিশ জানিয়ে এসেছেন ‘তিলোত্তমা’-র মা-বাবা। আর এবার চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া নিয়ে অরন্ধন পালন করলেন তারাও।
এদিন হাঁড়ি চড়ল না তাদের বাড়িতে। ‘তিলোত্তমা’-র মা-বাবার কথায়, “যতক্ষণ পারি না খেয়েই থাকব।” আরও যোগ করলেন, “সরকার কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত। সুষ্ঠ সমাধানের কোনও ইচ্ছাই নেই।” অরন্ধনের মধ্যে দিয়েই চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা ‘তিলোত্তমা’-র বাবা-মায়ের।
যেহেতু ছাত্ররা অরন্ধনের ডাক দিয়েছে, তাই তারাও তাদের পাশে থেকে রান্না চাপাননি। তাদের কথায় “ওরা তো এত দিন না খেয়ে রয়েছে। তাহলে আমি মা হয়ে কেন পারব না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তো উৎসবে মেতেছেন। কী আর বলব! আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, উনি তো কার্নিভাল করবেন। তারপর সবাইকে উৎসবে ফিরতে আগেই বলেছেন। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ওনাকে বলব আরও মানবিক হতে। আর ছেলেমেয়েগুলো তো নিজেদের বেতন বাড়াতে বলেনি। নাগরিকদের জন্যই ওদের এই আন্দোলন। বিষয়টা যত দ্রুত সম্ভব যাতে মিটিয়ে নেওয়া যায়, সেটাই দেখুক সরকার।”
আরও পড়ুনঃ
বাংলার পাশে দাঁড়িয়ে গোটা দেশজুড়ে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন, জানিয়ে দিল আইএমএ
আন্দোলনকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য সিনিয়র ডাক্তাররা পেন ডাউন করেছেন। আর এবার সরাসরি ‘তিলোত্তমা’-র মা-বাবাও অরন্ধন পালন করলেন। মেয়ের ন্যায় বিচারের দাবিতে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সংহতিই জানিয়ে পুজোর কয়েকদিন অনশনে বসেন তারা। একসঙ্গে লড়াই করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, তাই তারাও তাদের পাশে আছেন।
এই বার্তাই আর একবার দিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা-বাবা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।