প্রিসাইডিং অফিসারের অভিযোগ, ভোট শুরুর আগে তাঁকে মারধর করা হয়। হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর কাছে অভিযোগও জানান প্রিসাইডিং অফিসার গৌতম মান্না।
পঞ্চম দফায় রাজ্যের ৩ জেলার ৭টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন সম্পন্ন হয় সোমবার। বিক্ষিপ্ত হিংসা ও অশান্তির খবর আসে বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে। এর মধ্যে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে হাওড়ার একটি বুথের ঘটনা। সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারকে রীতিমত চড়-থাপ্পড় মারে পোলিং এজেন্টরা!
কী ঘটেছিল ঘটনা?
লিলুয়া ভারতীয় হাইস্কুলের ১৭৬ নম্বর বুথে প্রিসাইডিং অফিসারকে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির পোলিং এজেন্টদের দিকে। প্রিসাইডিং অফিসারের অভিযোগ, ভোট শুরুর আগে তাঁকে মারধর করা হয়। হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর কাছে অভিযোগও জানান প্রিসাইডিং অফিসার গৌতম মান্না।
কী জানালেন প্রিসাইডিং অফিসার?
এদিন সকালে মক পোল করাতে গেলে, তিনি দেখেন কোনও এজেন্ট নেই। এরপর, ১ জন মহিলা-সহ ২ জন এজেন্ট এলে তাঁরা তাঁকে লাগাতার চড়-থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। এদিন ওই প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, "সাড়ে ৫ টার সময় যখন মক পোল করতে আসি, তখন এখানে কোনও এজেন্ট ছিল না। এজেন্ট না থাকার বিষয়টি জানাই। কোনও এজেন্ট নেই। আমি কী করে মকপোল করব? ৬টা ১০-এ একজন মহিলা সহ ২ জন এজেন্ট আসে। ওরা আমাকে বলে একটাই দল। একজন মহিলাকে এজেন্ট ফর্মে সই করাতে যাচ্ছিলাম। আমাকে মারে। মহিলা বলে হাত গুটিয়ে বসেছিলাম। প্রচুর মেরেছে। RO-কে ৯ বার ফোন করেছি। আমি জানি না কোন দলের।''
গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট চাওয়ার পর প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেয় কমিশন। ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রিসাইডিং অফিসার গৌতম মান্না বলেন, 'এখানে একটাই দল, আমাকে মারা হল, অথচ সরানো হল আমাকেই।' প্রায় ৩ ঘণ্টা পর ওই বুথে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।