
অমিত শাহের বীরভূম সফর ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। শুক্রবার অর্থাৎ সংক্রান্তির দিনই অমিত শাহ এই রাজ্য সফরে আসছেন। তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস মনরেগা প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার তীব্র নিন্দা করেছে। পাশাপাশি অমিত শাহরে তাঁর সফরের সময় কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করতেও নির্দেশ দিয়েছে। অন্যেদিকে বিজেপি পাল্টা তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করেছে। বিজেপি অভিযোগ বাংলার সরকার এই প্রল্পের জন্য গত তিন বছর কোনও অর্থ ব্য়ায় করেনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিক বৈঠকে মনরেগা প্রকল্পের অর্থ আটকে রাখার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দরিদ্রদের তাদের পাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে । বাধ্যতামূলক শ্রমের টাকা দেওয়া হয়নি। এতে তাদের সম্মান নষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘন করছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার তীব্র সমালোচনা করেছেন। সেই কথা উল্লেখ করে এদিন মহুয়া মৈত্র বলেন অমিত শাহ দুই দিনের সফরে বাংলায় আসছেন। তারই মধ্যে তাঁকে উত্তর দিতেহবে কেন রাজ্যের দরিদ্র মানুষ কাজ করা সত্ত্বেও প্রাপ্য টাকা পাননি।
মহুয়া মৈত্র আরও বলেন, একটি ধারনা নিয়ে তৈরি হয়েছিল মনরেগা প্রকল্প। দরিদ্র মানুষকে কাজের অধিকার দেওয়াই ছিল এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কিন্তু এই রাজ্যে কাজ করা সত্ত্বেও টাকা দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আইনে বলা রয়েছে কাজ করার মাত্রা ১৫ দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্টকে প্রাপ্য টাকা দিতে হবে। যদি না হয় তাহলে আইনে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে বাংলার বাকি রয়েছে ৭.৫০০ কোটি টাকা। যারমধ্যে মাত্র ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রদান করেছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ১৭ লক্ষ পরিবার বঞ্চিত হয়েছে।
বিজেপির বক্তব্য
পাল্টা বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য মনরেখা প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তিনি মিথ্যা কথা বলার জন্য শাসকদলের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, গত তিন বছর ধরে মনরেগা প্রকল্পের টাকা ব্যায় নিয়ে কোনও হিসেবে বাংলার সরকার কেন্দ্রকে দেয়নি। সেই কারণেই টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দিতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়নি বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন রাজ্য সরকার যদি হিসেব নিকেশ সঠিক জমা দেয় তাহলে কেন্দ্রও টাকা দিয়ে দেবে।