ত্রিমুখী লড়াইয়ে সমানে সমানে টক্কর তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেসের, নজরে দার্জিলিং লোকসভা আসন

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রার্থী পরিবর্তন করে বিজেপি। বহিরাগত নয়, ভূমিপুত্র রাজু বিস্তা-র উপর আস্থা রেখেছিল গেরুয়া শিবির। তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাইকে পরাজিত করে দার্জিলিং কেন্দ্রটি নিজেদের হাতে রাখতে সক্ষম হয়েছিল তারা।

Parna Sengupta | Published : Apr 22, 2024 1:36 PM IST

২০২৪ সালের দার্জিলিং লোকসভা আসনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচনে, তৃণমূল কংগ্রেস গোপাল লামাকে প্রার্থী করেছে। অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি তার বর্তমান সাংসদ রাজু বিস্তের উপরই বাজি রেখেছে এবং কংগ্রেস ডাঃ মুনিশ তামাং-এর উপর বাজি রেখেছে। উল্লেখ্য বর্তমানে পাহাড়ের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সাংসদের কাজে খুব একটা সন্তুষ্ট নন পাহাড়ের জনতা। একাধিকবার দলীয় কর্মীদের ক্ষোভেরও মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। জেনে রাখা ভালো যে দার্জিলিং সংসদীয় কেন্দ্রে ৭টি বিধানসভা আসন রয়েছে। এই আসনগুলি হল – মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, কালিম্পং, দার্জিলিং, কার্সিয়ং, শিলিগুড়ি এবং চোপড়া। এই আসনের জন্য ২০২৪ সালের ২৬ এপ্রিল ভোট হওয়ার কথা।

২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে দার্জিলিং লোকসভা আসন থেকে বিজেপির রাজু বিস্ত জিতেছিলেন। তিনি মোট ৭৫০০৬৭ ভোট পান। এই নির্বাচনে রাজু বিস্তের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমর সিং রাই। তিনি এ এলাকার মোট ৩৩৬৬২৪ ভোটারের সমর্থন পান। রাজু বিস্ত ৪১৩৪৪৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে, দার্জিলিং সংসদীয় আসনে মোট ১৬১১৩১৭ ভোটার ছিলেন। এতে মোট মহিলা ভোটার ৭৯৩৬০৯ জন, পুরুষ ভোটার ৮১৭৬৮৭ জন।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রার্থী পরিবর্তন করে বিজেপি। বহিরাগত নয়, ভূমিপুত্র রাজু বিস্তা-র উপর আস্থা রেখেছিল গেরুয়া শিবির। তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাইকে পরাজিত করে দার্জিলিং কেন্দ্রটি নিজেদের হাতে রাখতে সক্ষম হয়েছিল তারা। তবে, প্রথম থেকে এখনও পর্যন্ত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় দার্জিলিং লোকসভা আসনটি সবচেয়ে বেশি হাতে রাখতে পেরেছে সিপিএম। মোট ছয়বার বামেরা এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন।

২০১১ সালে করা আদমশুমারি অনুসারে, এই সংসদীয় আসনের মোট জনসংখ্যা ছিল ২২০১৭৯৯ জন। এই জনসংখ্যার ৬৬.৬৮% গ্রামে বাস করে, অন্যদিকে ৩৩.৩২% শহরে বাস করে। এর মধ্যে, তফসিলি জাতিদের অংশ ১৭ শতাংশ, যেখানে তপশিলি উপজাতির অংশ ১৮.৯৯ শতাংশ। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Read more Articles on
Share this article
click me!