সন্দেশখালি নিয়ে সারা রাজ্য জুড়ে যখন রাজনৈতিক টালমাটাল, তখন দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকেও তৃণমূলের জনসভায় আসার জন্য মানুষের খামতি নেই।
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের মেগা ইভেন্টে। রবিবার তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভা। এই নিয়ে চতুর্থবার ব্রিগেড করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে বাংলায় বেশ কয়েকটি সভা করে তৃণমূল বিরোধী হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP)। সন্দেশখালি নিয়ে শাসকদল খানিকটা হলেও বেকায়দায়। এরকম এক পরিস্থিতিতে রবিবার তৃণমূলের ব্রিগেড। ফলে দলের কর্মী সমর্থকরা তাকিয়ে রয়েছে লোকসভা ভোটের আগে কী বার্তা দেন দলনেত্রী ও দলের সেনাপতি।
রবিবারের সভায় যোগ দিতে ইতিমধ্যেই জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বিভিন্ন জায়গায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত থাকবেন আজকের মঞ্চে। লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে নেতার ডাকে জনগর্জন সভায় যোগ দান করতে কাতারে কাতারে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীরা রওনা দিয়েছে কলকাতার ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে।
রবিবার ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে জেলায় জেলায় দলের পতাকা হাতে ব্রিগেডে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কাটোয়া মহকুমা থেকে শুরু করে কাটোয়া সংলগ্ন মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এমনকি উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকগন কাটোয়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে রওনা দিচ্ছেন আজকের জনগর্জন সভার উদ্দেশ্যে। আসানসোল শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে শুরু করে জামুরিয়া, রানিগঞ্জ অন্ডাল, কুলটি, বারাবনি, বার্ণপুর সংলগ্ন এলাকা ছাড়া বাংলা লাগোয়া ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকগন ট্রেন ধরে রওনা দিয়েছেন ব্রিগেডের পথে।
নবদ্বীপ স্টেশনেও ভোরবেলা থেকে ব্রিগেডের যাত্রীদের ভিড়। দুর্গাপুর এবং খড়গপুর থেকেও বিপুল জনসমাবেশ এসে উপস্থিত হয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে সারা রাজ্য জুড়ে যখন রাজনৈতিক টালমাটাল, তখন দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকেও তৃণমূলের জনসভায় আসার জন্য মানুষের খামতি নেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভাঙ্গড়, ক্যানিং, ইত্যাদি বহু জায়গা থেকে ট্রেন এবং বাসে চড়ে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে পৌঁছেছেন মানুষ। এমনকি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকেও নদীপথ পারাপার করে আসতে দেখা গেছে ঘাসফুল সমর্থকদের।