এর আগেও একাধিকবার দীপ্সিতাকে কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ। কখনও কখনও ব্যক্তিগত আক্রমণ শানাতেও দেখা গিয়েছে। এবার ভোটের দিনও সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন তৃণমূল প্রার্থী।
বিক্ষিপ্ত হিংসা নিয়ে শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর পঞ্চম দফা ভোটগ্রহণ। প্রার্থীদের মধ্যে বাগবিতন্ডা বারবারই চোখে পড়েছে। রাজ্যের কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল শ্রীরামপুর কেন্দ্র। তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের মধ্যে ফের কুশ্রী ভাষায় আক্রমণ হল। এদিন বাম প্রার্থীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল প্রার্থী।
এর আগেও একাধিকবার দীপ্সিতাকে কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ। কখনও কখনও ব্যক্তিগত আক্রমণ শানাতেও দেখা গিয়েছে। এবার ভোটের দিনও সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন তৃণমূল প্রার্থী। এদিন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী দীপ্সিতাকে কটাক্ষ করে প্রবীণ রাজনীতিক কল্যাণ বলেন, ‘জেএনইউ-তে নাচলে এখানে লোক হয় না।’ সিপিএমে কোনও ভাল লোক বা ভদ্রলোক নেই বলেও দাবি করেন তৃণমূল প্রার্থী।
দীপ্সিতা কাকে ভোট দিলেন? শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নিজেকে তো নিজে ভোট দেবেই। নিজেকে ভোট দেবে না তো আর কী করবে? ওর অত বড় মন আছে নাকি? যে নিজেকে ছেড়ে আমায় ভোট দেবে।”
এদিন দীপ্সিতার পাশাপাশি সেলিমকে আক্রমণ করে কল্যাণ বলেন, ‘সেলিম হল বড় গুণ্ডা। মুর্শিদাবাদে কিছু পারেনি, এখানে ছকবাজি করতে এসেছিল। সিপিএমে কোনও ভদ্রলোক থাকে না। সিপিএম ঘুমিয়ে পড়েছে।’ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বলেন, “কোনো লোকই নেই। জেএনইউ-তে নাচলে পরে তো আর এখানে লোক হয় না। কোথাও কোনও ঝামেলা নেই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চলছে। ভোট যা হচ্ছে, তা ওর ফেভারে (পক্ষে) ভোট পড়ছে না।”
একেবারে রণংদেহী মেজাজে দেখা গিয়েছে সিপিএমের প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে। ভোট শুরু থেকেই বুথে বুথে ঘুরেছেন ঘুরছেন তরুণ বাম প্রার্থী। তবে প্রতিপক্ষ কল্যাণের দাবি, প্রার্থী তো দূর, সিপিএমের কোনও লোককেই এদিন এলাকায় দেখা যায়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।