
Crime News: ফের রাতের অন্ধকারে খুন তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, কোন্নগরে কানাইপুরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালো দুষ্কৃতীরা।ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য কানাইপুর অটো স্ট্যান্ডে। জানা গিয়েছে, কানাইপুর পঞ্চায়েত তৃণমূল সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্না কানাইপুর অটো স্ট্যান্ডে তার গ্যাসের অফিস থেকে বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন বুধবার সন্ধায়। হঠাৎই দুষ্কৃতীরা তার উপর চড়াও হয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে। ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। পাশেই কানাইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
জানা গিয়েছে সেখান থেকে আহত ওই তৃণমূল নেতাকে কলকাতায় পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে প্রথমে পৌঁছয় কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। এবং উত্তরপাড়া থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তবে কী কারণে তৃণমূল সদস্যকে দুষ্কৃতীরা আক্রমন করল তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারা তাকে মারতে এলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কানাইপুরে যেখানে এই ঘটনা সেখানেই রয়েছে মদের দোকান। নানা ধরনের লোক সেখানে আসে রাত হলেই। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, বিয়ে ছিল ২৫ জুলাই। তার আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল পাত্র। অবশেষে নিখোঁজের ৫ দিন পর সেই পাত্রের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল থানার ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোরখপুর এলাকায়।বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি বাঁশবাগান লাগায়ো জঙ্গলের মধ্যেই ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।মৃতদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে তদন্তকারী পুলিশকর্তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নাহারুল আলি (২৮)। তিনি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁর বাড়ি চাঁচলের গোরখপুর এলাকায়। গত ২৫ জুলাই ওই যুবকের বিয়ে ঠিক হয় চাঁচলেরই মোবারকপুর গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে। বিয়ের আয়োজন সব সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই যুবক। ওইদিন রাতেই বাড়ির লোকেরা চাঁচল থানায় নাহারুলের নামে নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে গোরখপুর এলাকার বাঁশ বাগানের লাগোয়া জঙ্গলে কয়েকজন বালক শৌচাক্রিয়া করতে গিয়েই যায়। তখন তাদের নাকেই প্রথমে দুর্গন্ধ ভেসে আসে।
এরপর তাকঝাক করতেই ওই যুবকের পচাগলা এবং গলাকাটা অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে , অত্যন্ত নৃশংসভাবে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। গলা কাটার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। মৃতদেহর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বেশ কিছুদিন আগেই ওই যুবককে দুষ্কৃতীরা খুন করে থাকতে পারে। এদিকে মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাদের বাড়ির ছেলেকে দুষ্কৃতী দিয়েই খুন করিয়ে থাকতে পারে কোনও এক মহিলা।
মৃতের এক আত্মীয় আতাউর রহমান বলেন, ‘’নিখোঁজের সময় ওই যুবক তার মোবাইলটা সঙ্গে নিয়ে যায়নি। ফলে সেটির অনেক কেরামতি করে মেকানিকে দিয়ে মোবাইলের লক খোলানো হয়েছিল। তারপরে দেখা যায় এক বিবাহিত মহিলার ছবি এবং তার একশোর ওপরে একদিনে ফোনকল রয়েছে। একটি কল রেকর্ডে সোনা গিয়েছে নাহারুলকে ওই মহিলা বারবার ডাকছে।
এরপরই গত ২৫ জুলাই দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই যুবক। মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার জন্য ওই যুবকের পরিবারকে জরিমানাও পর্যন্ত দিতে হয়েছে। আমাদের ধারণা বিবাহিত সম্পর্কের জেরে ওই মহিলায় দুষ্কৃতীদের দিয়ে খুন করিয়েছে। এদিকে এদিনের এই খুনের ঘটনায় তদন্তে যায় চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। চাঁচলের এসডিপিও সোমনাথ সাহা জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট নাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।