
Anubrata Mandal News: এবার প্রকাশ্যে প্রশাসন ও শাসকের দ্বন্ধ। খোদ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজির অভিযোগ। ফোন করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধে (যদিও ওই ফোনকলের সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা)।
সূত্রের খবর, যে অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে তাতে এক জনকে 'অনুব্রত মণ্ডলের' নাম নিয়ে বোলপুরের আইসিকে হুমকি দিতে শোনা যাচ্ছে। সেই অডিয়ো ক্লিপে বলা হচ্ছে, ডেপুটেশন দিতে গিয়ে থানা থেকে বার করে আইসিকে পেটানো হবে। শুধু তাই নয়, বোলপুর থানার আইসির মা-স্ত্রীর উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শোনা যাচ্ছে। মিছিলের জমায়েতে পুলিশি রিপোর্ট নিয়ে আইসির বিরুদ্ধে তোপ দাগতেও শোনা গিয়েছে। যদিও কণ্ঠস্বরটি তৃণমূল নেতা অনুব্রতের কি না তার সত্যতা যাচাই করেনি Asianet News Bangla ।
এদিকে বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে মুখ খুলতে গিয়ে দলীয় এক জনসভা থেকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ''আমি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বলেছি। ডিআইজি পশ্চিমাঞ্চলকে বলেছি। আমি এসপিকে বলেছি এই আইসির ব্যাপারে।'' অনুব্রত মণ্ডলের আরও অভিযোগ, ''আইসি লিটন হালদারের কাছে এফআইআর বা কোনও কাজ করাতে গেলে তিনি শুধু টাকা চান। টাকা ছাড়া আইসি কিছু বোঝেন না।''
উল্লেখ্য, রাজ্যের যে কোনও জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় জেলা সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তিনি এখন আর বীরভূমে শাসক দলের জেলা সভাপতি নন। বীরভূমে আর তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি পদ নেই। অনুব্রত মণ্ডল যে পদে ছিলেন, সেই পদেরই অস্তিত্ব নেই। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর বীরভূমে দলের দায়িত্ব একাধিক নেতার মধ্যে ভাগ করে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর জেলায় ফিরলেও, পুরনো দাপট ফিরে পাননি কেষ্ট। বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে দেওয়া ৯ সদস্যের কোর কমিটি। এই কমিটিতে আছেন অনুব্রত। ফলে তিনি দলে গুরুত্ব হারিছেন।
অন্যদিকে, অবশেষে দুইদিন পরে কানাইপুরের নিখোঁজ নাবালিকার দেহ উদ্ধার হল! পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যাপক বিক্ষোভ এলাকাবাসীর।
বাড়ি থেকে প্রায় দু কিলোমিটার দূরে নপাড়া এলাকায় ফাঁকা মাঠে পড়েছিল দেহ। স্থানীয় কেউ দেখে পুলিশকে জানায়। দেহ উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। কেন পরিবারকে দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি সেই অভিযোগে ফাঁড়িতে বিক্ষোভ। পরিবারের লোককে দিয়ে দেহ শনাক্ত করা হবে।
পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন,খুন ও ধর্ষনের মামলা রুজু করা হয়েছে।অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। গত মঙ্গকবার বিকাল চারটের সময় কানাইপুর কলোনীর বাসিন্দা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বছর তেরোর নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় পড়শি যুবক।তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্নিফার ডগ নিয়ে এসে এলাকায় তন্নতন্ন করে তল্লাশি করে পুলিশ। পুকুরে নামানো হয় ডুবুরি। ফেলা হয় জাল।
চন্দননগর পুলিশের কমিশনার অমিত পি জাভালগি,ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস,এসিপি আলী রাজা সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। যদিও এই বিষয় স্থানীয় বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে মেয়েদের জন্য স্কুলের শিক্ষক জানান মেয়েটি খুবই ভালো ছিল একটা সম্ভাবনা আগামীর জন্য,শুধু মাত্র শারীরিক ক্ষুদা মেটানোর জন্য জীবনটা শেষ করে দিল,এর থেকে আমাদের সমাজের আর কি লজ্জা থাকতে পারে বলতে পারেন?
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।