ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলি। তাঁদের দাবি ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার যথেষ্ট প্রস্তুত ছিল না।
রাজ্যজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। প্রায় রোজই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা থেকে আসছে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলি। তাঁদের দাবি ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার যথেষ্ট প্রস্তুত ছিল না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে মশার 'জন্ম নিয়ন্ত্রণ' তত্ত্ব তুলে ধরলেন তিনি।
রাজ্যের ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'মশার জন্ম নিয়ন্ত্রণ, এটা একটা খুব জটিল এবং কঠিন বিষয়৷ এখন। মশা অতি অবুঝ প্রাণী৷ মানুষের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণে যত সহজে প্রচার করা যায়, মশার মধ্যে তত সহজে প্রচার করা যায় না৷' কুণাল ঘোষের মন্তব্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল বিভিন্ন মহলে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেং যে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, রাজ্য সরকার, পুরসভা, স্বাস্থ্য দফতর, যা যা করার সবই করছে৷। মানুষকেও সচেতন হতে হবে বলে জানান তিনি।
পুজোর আগে ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে একাধিক সিদ্ধান্তও। সতর্কতামূলক নির্দেশিকা না মানলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
নবান্নের বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টি সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে রাজ্যে ডেঙ্গির পরিসংখ্যান বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পরিসংখ্যানের এই বারবারন্ত স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।