ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে একাধিক সিদ্ধান্তও। সতর্কতামূলক নির্দেশিকা না মানলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
রাজ্যে ডেঙ্গির বারবারন্ত রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিবান্ন। সোমবারই নবান্নে সম্পন্ন হয়েছে এই সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং সমস্ত জেলার জেলাশাসক, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতা পুরসভার কমিশনার এবং স্বাস্থ্যকর্তারা। পুজোর আগে ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে একাধিক সিদ্ধান্তও। সতর্কতামূলক নির্দেশিকা না মানলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
নবান্নের বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টি সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে রাজ্যে ডেঙ্গির পরিসংখ্যান বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পরিসংখ্যানের এই বারবারন্ত স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যের দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০। জানা যাচ্ছে মোট ৩০ হাজার মানুষ এই মুহূর্তে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে বেসরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬৭০। তবে পুজোর আগে ভয় ধরাচ্ছে তিনটি জেলা। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ। এই তিন জেলার মোট আটটি এলাকাকে ডেঙ্গি 'হটস্পট' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই হটস্পট নিয়েই মূলত চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন,'বৃষ্টিতে ডেঙ্গি আরও বাড়তে পারে। প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজ্যে ডেঙ্গি পরীক্ষার হার আগের চেয়ে বেড়েছে। এই মুহূর্তে ২০৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হচ্ছে। মূল চিন্তা তিনটি জেলা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। হাওড়া এবং হুগলিতে ডেঙ্গি সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে।'