সূত্রের খবর গত কয়েকমাসে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এতদিন ভয়ে মুখ খোলেননি কেউই। সন্দেশখালির মহিলাদের দেখে এখন সামনে আসছেন দিনহাটার নির্যাতিতারা।
এখন খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই মুখ খুলছেন অনেকেই। সাহসে ভর করে এগিয়ে আসছেন তাঁরা। এবার দিনহাটা থেকে আসছে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। সেখানকার অনেক মহিলাই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজেদের নির্যাতনের কাহিনি তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলছেন রাত ১২টাতেও তাঁদের পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হত পিঠে বানিয়ে দেওয়ার নাম করে।
মহিলারা জানিয়েছেন 'ভোটের গণনার পর দিনই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। আমার স্বামীকে পায়নি। তারপর আমাকে ধরে।' সূত্রের খবর গত কয়েকমাসে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এতদিন ভয়ে মুখ খোলেননি কেউই। সন্দেশখালির মহিলাদের দেখে এখন সামনে আসছেন দিনহাটার নির্যাতিতারা। দুজন থানায় ইতিমধ্যে অভিযোগও দায়ের করেছেন।
আরও এক মহিলা জানিয়েছেন “তৃণমূলের গুন্ডারা রাত ১২ টার সময়ে আমাকে পার্টি অফিসে ডাকে। বলে পিঠে বানাতে হবে। ওদের তো খারাপ মতলব ছিল। আমি যখন রাজি হইনি, তখন পরের রাত ৯টায় এসে আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আমার মাথায় বন্দুক ঠেকায়।”
দিনহাটার বুড়িরহাট অঞ্চলের নির্যাতিতা ওই মহিলার অভিযোগ, “আমাকে বিশু ধর, দিলীপ ভট্টাচার্যের গুন্ডাবাহিনী আমাকে রাত বারোটা সময়ে পার্টি অফিসে ডাকে। পিঠে বানানোর নাম করে ডাকে। আমি রাজি হইনি। আমি বলি রাত বারোটায় কেউ যাবে পিঠে বানাতে। মেয়েদের কী সম্মান নেই? আমার বাড়িতে এসে মাঝেমধ্যে অত্যাচার করত। আমি বলতাম, আমার কী সম্মান নেই? আমাকে কি বাঁচতে দেবেন না?” তিনি আরও বলেন, “বিকাল চারটের সময়ে ওরা আসেন বুথ সভাপতি। বলেন কালকে যেতে হবে। আমি না বলে দিই। আমার তো সম্মান বলে একটা জিনিস রয়েছে। আমি হাতজোড় করে বলি। আমাকে একটু বাঁচতে দিন, আমার সম্মান রয়েছে। আমি যাইনি বলে, রাত বারোটা লোক এসে আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে। ওদের একটা খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে। কিন্তু আমি তো সেই ধরনের মহিলা নই।”
তবে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি বলেন সন্দেশখালিকে সামনে রেখে এখন নতুন পিঠে-কাহিনী চালু করেছে বিজেপি। কোনও নেতাই রাত বারোটা তো দূরের কথা, রাত ১০ টার পর বাইরে থাকেন কিনা, জানি না। পিঠে খাওয়ার বয়স আর নেই।” তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন, “মানুষ যদি মনে করেন, আমি এটা করতে পারি, তাহলে মানুষ আমার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।