তৃণমূল সরকার অনগ্রসর জাতি ও উপজাতির সদস্যদের বিভ্রান্ত করছে। ভুয়ো আশ্বাস দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অভিযোগ অস্বীকার করলেন কুণাল ঘোষ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের তফসিলি জাতি ও উপজাতির সদস্যদের বিভ্রান্ত করছেন। তাদের 'ভুয়ো আশ্বাস' দেওয়া হচ্ছে। সোমবার তেমনই অভিযোগ করল বিজেপি। এদিন এসপ্ল্যানেডে বিজেপির অনগ্রসর বর্ণের সদস্যদের একটি সমাবেশে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুদীপ দাস। সেখানেই তিনি এই বিষয়ে রাজ্যের শাসকদলকে সতর্ক করে দেন।
সুদীপ দাস এদিন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার এসসি, এসটি ও ওবিসি সদস্যদের কণ্যালের জন্য কিছু করছে না। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে খুশি করতে আগ্রহী। মতুয়া ও অন্যান্য সম্প্রদায়কে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পুরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ করে বিজেপি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলিত ও সাধারণ শ্রেণীর প্রার্থীদের উপেক্ষা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন বিজেপি দাবি করে রাজ্যে তৃণমূল সরকারের নীতি 'দ্বৈতমুখী'। এই নীতির সম্পূর্ণ বিপরীতে হেঁটে কেন্দ্রের মোদী সরকার রামনাথ কোবিন্দ, দ্রৌপদী মুর্মুর মত ব্যক্তিত্বদের রাষ্ট্রপতির পদের জন্য মনোনীত করে অনগ্রসর জাতি ও দলিতদের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুরণ করেছে। তিনি কেন্দ্রের নীতির প্রশংসা করে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। সুদীপ দাস হলেন বিজেপির এসসি মোর্চার প্রধান।
বিজেপি নেতার দাবি রাজ্যের বিভিন্ন পিছিযে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ২০ লক্ষ। তাদের জন্য বিধানসভায় বেশ কয়েকটি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্যে পিছিয়ে পড়া মানুষেক স্বার্থ সুরক্ষিত নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, 'আমরা যদি রাজ্য সরকারের করা অন্যায়ের বিরুদ্ধে একত্রিত হয় তাহল তৃণমূলের দলিত বিরোধী ভণ্ড মনোভাব প্রকাশ পাবে। তৃণমূলকে পরাজিত করা যাবে।' তিনি আরও বলেন ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের নিহতরা বেশিরভাগই ছিল পিছিয়ে পড়া জাতির সদস্য।
সমাবেশে SC, ST এবং OBC সদস্যদের 500 জনেরও বেশি সদস্য উপস্থিত ছিলেন, এছাড়াও বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং মোর্চার সাথে জড়িত অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
তবে বিজেপির এই অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপি যা বলে তার গুরুত্ব খুব কম দেয়। মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের সম্মান দেখানের উপায় কাউকে শেখাতে হবে না। দলের চেয়ারপার্সেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুর ও বড়োমা বিনাপানি দেবীর একজন ভক্ত। তিনি আরও বলেন তৃণমূল মতুয়া ও অনগ্রসর জাতির জন্য অবিরত কাজ করছে।