ফের একবার বিস্ফোরক ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। নিজ মহিমায় ফিরে এলেন তিনি।
ফের একবার বিস্ফোরক ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। নিজ মহিমায় ফিরে এলেন তিনি।
এবার বিরোধী সিপিএমকে তিনি কালকেউটের জাত বলে আক্রমণ করেছেন। সুযোগ পেলেই নাকি মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি তার জাত চিনিয়ে দেবে, এমনই মন্তব্য করেছেন এবার ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক।
এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে যখন তোলপাড় গোটা দেশ-বিদেশ, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনার ঝড়, ঠিক তখনই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন তাঁর নিজের দলেরই এই সাংসদ।
এদিন পার্থ বলেন, “ভারতবর্ষের কোনও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের রাজ্যে ঘটে যাওয়া নির্যাতিতার সুবিচার চেয়ে কোনওদিন পথে নেমেছেন? কেউ দেখাতে পারবেন না আপনারা। অথচ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করে অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন। আমরাও তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গলা ফাটিয়ে বলতে চাই যে, দোষীদের ফাঁসি হোক।”
তিনি আরও যোগ করেছেন, “নির্যাতিতার জন্য আজকে আমাদের যেমন চোখের জল পড়ছে, ঠিক তেমনই চোখের জল পড়েছিল সেদিনও। যেদিন অনিতা দেওয়ানকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল সিপিএম-এর গুন্ডারা। সেদিন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বলেছিলেন, এইরকম ঘটনা তো ঘটেই থাকে। এইরকম আরও কত ঘটনা ঘটেছিল বাম আমলে। সেইসময় কিন্তু অপরাধীরা শাস্তি পায়নি। সেইসব কথা ভুলে গেছে সিপিএম।”
বিরোধী সিপিএমকে নিশানা করার সঙ্গে সঙ্গেই এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। এই ইস্যুতে রীতিমতো জুনিয়র ডাক্তারদের আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, পাল্টা জবাব দিয়েছেন লাল শিবিরের জেলার নেতা আহমেদ আলি খান। এদিন তিনি বলেন, “এই ধরনের কথাবার্তা একসময় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে শোনা যেত। তিনি দলীয় নেতা এবং কর্মীদের নিদান দিয়ে বলতে যে, কেউটে সাপ সিপিএমের কেউ ঘরে ঢুকলে তাদের লাঠিপেটা করে মেরে ফেলবেন। সাংসদ পার্থ ভৌমিকও এখন একই সুরে কথা বলছেন। তৃণমূল দলে ভদ্রলোকের চেয়ে অভদ্র লোকের সংখ্যাই বেশি। তাই এদের নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। তবে এটুকু বলতে পারি যে, আরজি কর কাণ্ড থেকে রেহাই পাবেন না পার্থ বাবুরা।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।